মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন সেফালী রানী দাশ। কথা বললে তিনি জানান, ‘ডাক্তার দেখানোর জন্য ছেলেকে নিয়া হাসপাতালে আইছিলাম। গাড়ীর জন্য অনেকক্ষণ দাড়ায়া ছিলাম। পরে আমি ও আরেকজন মিলা ১শ টাকা দিয়া রিকশা নিলাম। অথচ গাড়ী চললে আমাগো ভাড়া লাগে ১০ টাকা।’
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) মানিকগঞ্জ এলাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগের এ চিত্র দেখা গেছে। এছাড়াও যেসকল পরিবহন চলছে তারাও ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে মানিকগঞ্জে এলাকায় দেখা যায়, ঢিলেঢালা ভাবে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। তবে পণ্যবাহী ট্রাকের চেয়ে যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা কম। ভোগান্তীতে পরেছে যাত্রীরা। কয়েকগুন বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে গন্তব্যস্থলে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে। প্রতিটি বাস ছিল যাত্রী বোঝাই। স্বাভাবিক দিনের মত চলাচল করছে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান। প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। বাসের পাশাপাশি অটোবাইক, সিএনজি, রিকশা ও ভ্যানে যাতায়াত করছে যাত্রীরা।
সাটুরিয়ার নায়াডিঙ্গীর রিতা রানী বিশ্বাস জানান, ‘গাড়ী বন্ধের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তাই তো বাড়ি থেকে বের হইছি।সকালে বাস পাইলেও দুপুরে মানুষের কারনে গাড়ীতে উঠতে পারি নাই। পরে শুনলাম গাড়ী বন্ধ। আসার সময় দিলাম ১০ টাকা আর যাওয়ার সময় ৪০ টাকা দিতে হবে।’
সাভারের যাত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, জরুরী একটা কাজের জন্য সাভার অফিসে যেতে হচ্ছে। কিন্তু গাড়ীর তুলনায় রাস্তায় মানুষ বেশি হওয়ায় র্দীঘক্ষণ অপেক্ষা করে ২শ টাকা ভাড়ায় রাজি হয়ে প্রাইভেটকারে উঠলাম। অথচ প্রতিদিন অফিসে যাই ৫০ টাকা দিয়ে।
তবে এবিষয়ে থানা ও হাইওয়ে পুলিশের বক্তব্য পাওয়া য়ায় নি।
উল্লেখ্য, লিটার প্রতি জ্বালানী তেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ার ঘটনায় সারা দেশে চলছে বাস-পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের মালিকদের পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ