নীলফামারীর ডোমার-ডিমলা ব্যস্ততম সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় তৈরী হয়েছে মরণফাঁদ। খানা খন্দ আর ছোট ছোট গর্তে ভরা সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন। হরহামেশায় অটোবাইক ও অটো রিক্সা উল্টো পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকেই। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গত কয়েক বছরে সড়কে অকালে প্রাণ গেছে অন্ত:ত ৫/৬জন মানুষের। তবে শীঘ্রই সড়কটি সম্প্রসারনসহ সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ডোমার ও ডিমলা উপজেলার লাখো মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করতে ২০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর নির্মাণ করেন এই সড়কটি। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের সংস্কার কাজ না হওয়ায় বোড়াগাড়ী বাজার থেকে পাঙ্গা চৌপথী পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার পথ পরিনত হয়েছে মরণফাঁদে। দুই উপজেলার লাখো মানুুষের যাতায়াত আর যানবাহনের চাপে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে সড়কটি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার মানুষসহ বিভিন্ন যানবাহন। খানা খন্দে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনের যন্ত্রাংশ।
ডোমার-ডিমলা সড়ক দিয়ে যাওয়া ট্রাক ড্রাইভার জহুরুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটিতে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের ফলে ট্রাকে করে মালামাল বহণ করতে অনেক কষ্ট হয়। পাশাপাশি গাড়ির যন্ত্রাংশেল অনেক ক্ষতি হয়। স্পিরিং ভেঙ্গে যায়, চাকা পামচার, ইঞ্জিনে নানা সমস্যা দেখা দেয়। সড়কটি মেরামত হলে সবার জন্য চলাচলে সুবিধা হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আব্দুল মতিন বলেন, ‘২০ থেকে ২৫ বছর আগে র্নিমাণ হওয়া রাস্তাটিতে কোন সংস্কার কাজ হয়নি। বড় বড় গর্তের ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন গন্তব্যে মানুষ।’ফরিদুল ইসলাম কাজল বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত বাস-ট্রাক, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা ও ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। ব্যস্ততম রাস্তটিতে গত কয়েক বছরে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫/৬জন। অনেকে আবার পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এই সড়কে দুর্ঘটনায়। তাই রাস্তারটির সংস্কার কাজের জোর দাবি জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের কাছে।’
নীলফামারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকেীশলী সুজন কুমার কর বলেন, ‘অব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় চলাচলে সড়কটি অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটি ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুটে উন্নিত করা হবে এবং ১৮ ফুটে চওড়া হলে থাকবে না আর যানজট। সম্প্রসারণ ও সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা।’ কাজ শেষ হলে ডোমার ও ডিমলাবাসীর থাকবে না কোন দূর্ভোগ বলে দাবী এই প্রকৌশলীর।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ