কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার জন্মনিবন্ধন সনদের মধ্যে অন্তত ১ লক্ষ জন্ম সনদে ভুল ধরা পড়েছে। এসব জন্মসনদ সংশোধন করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ জনগন। জন্ম সনদে নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম ও বয়সে একাধিক ভুল রয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল জন্মসনদ জমা দেয়ার নিয়ম চালু কারার পর ডিজিটাল জন্মসনদ তুলতে গিয়ে এসব ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
সরকার সারাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করার পর প্রথম পর্যায়ে ভৈরব পৌরসভা থেকে দেয়া হতো শুধুমাত্র বাংলায় হাতের লেখা নিবন্ধন। ওইসব সনদ বর্তমানে ডিজিটাল করার ফলে বাংলার বিপরীতে ইংরেজীতেও নাম লিখতে হয়। ডিজিটাল সনদ তুলতে গিয়ে একাধিক ভুলের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে পৌর বাসিন্দারা।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে আবেদন করে ভুল সংশোধন করতে সময় লাগে এক থেকে দুই মাস। অতিরিক্ত সময়ের কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়েছে মহাবিপাকে। এসব ভুল সংশোধন করতে প্রতিদিনই ভৈরব পৌর মাতৃসদনে ভীর জমাচ্ছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ।
জানা গেছে, হাতের লেখা জন্ম সনদ থেকে কম্পিউটারে অনলাইনে টাইপ করার সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌর কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতার কারণে লক্ষাধিক জন্মনিবন্ধন সনদে একাধিক ভুল রয়ে যায়। আর এসব ভুলের মাসুল দিচ্ছে এখন জনগন। যাদের বাবা-মায়ের নাম ভুল হয়েছে, তারা কিশোরগঞ্জ থেকে ভুল সংশোধন করার পর নিজের নাম ও ঠিকানা ভুল হলে ভৈরব থেকে সংশোধন করছেন। এসব ভুল সংশোধন করতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পাড় করছে পৌর কর্মচারীরা। অভিযোগ রয়েছে, অযোগ্য লোকদের দিয়ে জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংগ্রহ ও জরিপের সময় প্রতিটি বাড়িতে না গিয়ে একজনের ঘরে বসে অন্যান্য বাড়ির তথ্য লোকমুখে নেয়ার কারণে এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
ভৈরব পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নাসিমা বেগম জন্ম নিবন্ধনে ভুল রয়েছে তা স্বীকার করেছেন।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার প্রশাসকের অনুমোদিক্রমে ভৈরব উপজেলা প্রশাসনে আবেদন নেয়া হচ্ছে। আজ থেকেই কাজ শুরু হচ্ছে। আশা করি জন্ম নিবন্ধনে ভুল সংশোধনে জনগনের ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ