ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈশ্বরদীতে নতুন জাতের আখ উদ্ভাবন

প্রকাশনার সময়: ০৬ জুলাই ২০২১, ১৬:২৪

ঈশ্বরদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) ১২ বছর গবেষণার পর উচ্চফলনশীল এবং অধিক চিনি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আরো একটি নতুন জাতের আখ উদ্ভাবন করেছে। নতুন জাতের এই আখ ইতিমধ্যে মাঠেও অবমুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন এ তথ্য জানান।

বিএসআরআই সূত্রে জানা গেছে, এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে গত ১৭ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৫তম সভায় এ জাতটি অবমুক্ত করা হয়। এ জাতের ফলন (৯৩.৫০-১২১.৫২ টন) বহুল প্রচলিত চেকজাত ঈশ্বরদী ৩৯ এর চেয়ে ৭.৩৬% বেশি এবং চিনি ধারণক্ষমতা (১২.০৬-১৫.১১%) ও গুড় আহরণ হার (১০.৭৫%) ঐ জাতের চেয়ে যথাক্রমে ০.৩৮% এবং ০.৮৫% বেশি। জাতটি মোটা এবং স্মাট ও উইল্ট রোগ প্রতিরোধী। এতে লালপচা রোগ দেখা যায়না।

বিএসআরআই এর বিজ্ঞানীরা জানান, এ জাতের আখের পাতায় ধার কম থাকায় মাঠের শ্রমিকগণ অনায়াসে আখক্ষেতে কাজ করতে পারেন।

উল্লেখ্য ২০০৯ সালে ভারত এবং পাকিস্তানের দুটি আখ জাতের সংকরায়নের মাধ্যমে উদ্ভাবিত ক্লেনটিকে পুনরায় নিজেদের মধ্যে সংকারয়ণ করে ২০১১ সালে আই ১১১/১১ ক্লোনটি নির্বাচিত করা হয়। এরপর প্রাথমিক ফলন পরীক্ষা, অগ্রবর্তী ফলন পরীক্ষা, আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষাসহ বেশকিছু গবেষণার মাধ্যমে এটিকে নতুন জাত হিসেবে অবমুক্তির জন্য নির্বাচন করা হয়। জাতীয় বীজ বোর্ডের জাত অবমুক্তির এ সভায় সকল সদস্যের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে জাতটি অবমুক্ত করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার জাতটির সম্পর্কে বলেন, নতুন এই জাতের আখ মাঠে ব্যাপক ভাবে আবাদ করা হলে দেশের চিনিকলগুলোয় চিনির উৎপাদন বেশী হয়ে লোকশানের মাত্রা অনেকাংশেই কমে যাবে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ