পটুয়াখালী জেলার সাগর-নদী বেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালী। ২০১২ সালে উপজেলা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে দ্বীপটি। কিন্তু উপজেলা হিসেবে ৯ বছর পদার্পণে করলেও উন্নয়নের এই মহা সমীচীন সময়ে তেমন কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি উপজেলাটির বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের যাতায়াত পথগুলোতে।
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়কই মাটির। কাটাখালী হাইস্কুল থেকে বাধঘাট পর্যন্ত মাটির সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সড়কে কোন উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই কাদামাটিতে একাকার হয়ে যায় মাটির রাস্তাটি। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে এলাকাবাসী, পথচারীসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষার পানি জমে খানাখন্দে সয়লাব কাটাখালী হাইস্কুল থেকে বাধঘাট পর্যন্ত মাটির রাস্তাটি। রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে বেশি বিপাকে রয়েছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কৃষি জমি থেকে উৎপাদিত ফসল পরিবহনে সীমাহীন ভোগান্তিতে স্থানীয় কৃষকেরা। ফলে থমকে যাচ্ছে এ এলাকার বাৎসরিক আয়-বাণিজ্য।
কাটাখালী এলাকার শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ মৃধা নয়া শতাব্দী প্রতিবেদক জানান, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটির বেহাল দশা হয়। বেহাল দশার কারণে গ্রামবাসী, পথচারী, রোগী এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যাতায়াত বিঘ্ন ঘটছে প্রতিনিয়ত। লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তাটি এখন আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে ১৮ বছর পাড় হলেও নির্বাচন হচ্ছে না আমাদের ইউপিতে। এই সুযোগে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের ভাগ্য পরিবর্তনের হলেও আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি। আমাদের দুর্ভোগ লাঘবে ভাবনা নেই তাদের। আমরা এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই! আমরা পাকা রাস্তা চাই!’
বড়বাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসনাত আবদুল্লাহ্ জানান, ‘আমার ইউনিয়নে তেমন কোনো পাকা রাস্তা নেই, পাকাসহ যে সকল কাচা রাস্তা রয়েছে তখন চলাচলের অনুপযোগী। এবিষয় আমি উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন মিটিং একাদিকবার আলোচনা করেছি। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘শুনেছি মাটির ওই রাস্তাটি মানুষ চলাচল একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা রাস্তাটিকে পরিদর্শন করবো এবং উপজেলা এলজিইডি অফিসের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।’
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ