ময়মনসিংহে গফরগাঁওয়ে ৫ম শেণীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার ২৬ দিন গফরগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছো। সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ধর্ষিত ওই শিশুর বাবা মো. মজিবুর রহমান বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় মামলা করেন।
ওই শিক্ষার্থী পাকাটি জামালিয়া দাখিল মাদরাসা ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। এর আগে গত ২৩ দিন পূর্বে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের জিন্নত আলীর বাড়ি সংলগ্ন সুলতানের মুদির দোকানে।
ধর্ষিতার পরিবার ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর চাচা সুলতানের মুদির দোকানে সেম্পু আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়।
মামলার বাদী মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ে সুলতানের দোকানে সেম্পু আনতে যায়। ওই দোকানে বসে থাকা সুলতানের ভাই হযরত আলীর ছেলে ইব্রাহিম তার বাড়ি থেকে শার্ট আনতে বলে। আমার মেয়ে শার্ট নিয়ে দোকানে আসা মাত্রই ইব্রাহিম দোকানের দরজা বন্ধ করিয়া আমার মেয়েকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। তার পরের দিন একই ভাবে বাচ্চুর ছেলে সম্রাট পুনরায় আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় স্থানীয় মেম্বারসহ এলাকার লোকজনের কাছে বিচার চেয়ে ধারে ধারে প্রায় ১ মাস ঘুরে বিচার না পেয়ে রোববার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নিয়েছে সোমবার দুপুরে। মামলার বিষয়ে জানতে পেরে মামলা প্রত্যাহারের জন্য ধর্ষণকারীর পরিবার ও এলাকার প্রভাবশালী মহল আমাদেরকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। এলাকার কিছু লোক আমাকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসা করার কথা বলছে। আমি টাকা চাই না আমি বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘শিশু শিক্ষার্থীর ধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে আসামী করে মামলা ধর্ষণ মামলা নিয়েছি। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। আশা করছি দ্রুতই আসামী গ্রেফতার হবে।’ নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ