স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করতে পেরেছি। সুন্দরবনসহ আর কোথাও কাউকে ডাকাতি করতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, এক সময় সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালী ও মৌয়ালরা বনদস্যুদের হাতে জিম্মি এবং প্রায়ই বনদস্যুদের হাতে তাদের জীবন হারাতে হতো। দস্যুমুক্ত সুন্দরবনে এখন শান্তির সুবাতাস বইছে।

আজ সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের রামপাল ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত সুন্দরবন দস্যুমুক্ত দিবসের তৃতীয় বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন।

এ এলাকায় র‌্যাবের একটি স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। যাতে এই অঞ্চলে নতুন করে আর বনদস্যু তৈরি বা যারা আত্মসমর্পন করেছেন তারা পূর্বের পেশায় ফিরে যেতে না পারে। একই সাথে কোস্টগার্ডকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে আরো শক্তিশালী করা হবে।

র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পীর ফজলুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি গ্লোরিয়া ঝর্না, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ, খুলান বিভাগীয় কমিশনার মো: ইসমাইল হোসেন এনডিসি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে র‌্যাব-৬ ও র‌্যাব-০৮ এর অধিনায়ক, বাগেরহাট জেলাসহ স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং উপকার ভোগী পুর্নবাসন সহায়তাপ্রাপ্ত ৩’শ ২৬ জন সাবেক বন ও জলদস্যু উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের ১০২টি ঘর, ৯০টি মুদি দোকান (মালামালসহ), ১২টি জাল ও মাছ ধরার নৌকা, আটটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং গবাদিপশু হস্তান্তর করেন।

নয়া শতাব্দী/এম