একাদশ জাতীয় সংসদের সিরাজগঞ্জ-০৬ (শাহজাদপুর) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামীকাল মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। এ উপ-নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকা শাহজাদপুর পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নের ১৬০টি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)সহ অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে ইভিএমসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণ করেন রাজশাহী আঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম । এ সময় সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শাহজাদপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনে সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম পিপিএম। উপ-নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে।
একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) সংসদীয় আসন। এ আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লক্ষ ২০ হাজার ৭৮০জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৪৩ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ২ লক্ষ ৫ হাজার ৪৩৭ জন । এ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করায় আসনটি শূণ্য হলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
উপ-নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা (প্রতীক নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোক্তার হোসেন (প্রতীক লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাড. হুমায়ূন কবির (প্রতীক মোটরগাড়ী)।
সোমবার রাজশাহী আঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনের ১৬০টি ভোট কেন্দ্রেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৪ জন সশস্ত্র পুলিশ ও ১২ জন সশস্ত্র আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, ৮ প্লাটুন র্যাব, পুলিশের ১৬টি মোবাইল টিম ও ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুরো নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ১ জন যুগ্ম জেলা জজ ও ১ জন সিনিয়র সহকারী জজের নেতৃত্বে দুইটি বিচারিক আদালত ভোট গ্রহণ চলাকালে দায়িত্ব পালন করবেন।
আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা জানান, ‘শাহজাদপুরের সচেতন জনগণ তাঁর পাশে রয়েছে। জনগণ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে তাকে বিজয়ী করবেন বলে তিনি আশাবাদী।’
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোক্তার হোসেন জানান, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে লাঙ্গল প্রতীকের জয়লাভ করবে বলে আশাবাদী।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাড. হুমায়ূন কবির জানান, ‘জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনি এ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনি দাবি করেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হলে ভোটাররা তার মোটরগাড়ী প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করবেন।’
এদিকে, এ উপ-নির্বাচনে জয়লাভ করে এ আসনে কে এমপি হিসেবে নির্বাচিত হচ্ছেন সে অপেক্ষায়ই রয়েছে শাহজাদপুরবাসী।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ