ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মেয়রের বিরুদ্ধে মামলায় উত্তাল কক্সবাজার

প্রকাশনার সময়: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ২০:৫৯ | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ২১:১১

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা যুবলীগ নেতা মোনাফ সিকদারকে গুলি করার নির্দেশদাতা হিসেবে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা লিপিবদ্ধ হয়েছে। মামলার প্রতিবাদে উত্তাল কক্সবাজার। শহরের দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়াসহ টায়র জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধে অচল প্রায় পর্যটন নগরী।

রোববার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১২টায় মেয়র মুজিবকে প্রধান আসামি ও ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন আহতের বড় ভাই। মামলায় আরও ৮ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে কক্সবাজার শহরের সকল দোকানপাট, বাস কাউন্টার বন্ধ করে দেয় মেয়র মুজিবুরের অনুসারীরা। পাশাপাশি সড়কের মাঝখানে পৌরসভার ময়লার গাড়ি রেখে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এ নিয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে শহরবাসী ও পর্যটকদের মাঝে।

সূত্র জানায়, বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে শহরের কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টে মোনাফ সিকদারকে (৩২) গুলি করা হয়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মোনাফ সিকদার এক ভিডিওবার্তায় বলেন, “আমাকে মুজিবুর রহমান মেয়রের নির্দেশে গুলি করা হয়েছে। ওরা গুলি করার সময় বলছিল, তুই মুজিব চেয়ারম্যানের সাথে লাগছস? মুজিব চেয়ারম্যানের সাথে আর লাগবি?’ এই বলে পিছন থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।”

ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে এ বিষয়ে জানার জন্য মেয়র মুজিবুর রহমানকে কয়েকদফা ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যার চেষ্টা ধারায় মেয়র মুজিবকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে মেয়র মুজিবুরের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরপরই পুরো শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মেয়রের অনুসারীরা একদিকে বিক্ষোভ মিছিল করছে, অন্যদিকে দোকানপাট বন্ধ করে দিচ্ছে। এছাড়া প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করছে তারা। তবে ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায়নি।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীরুল গিয়াস বলেন, ‘অপরাধীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ। কারও ইন্ধনে এ ঘটনা হলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ