মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে পিটিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দেবরের বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের কোনাগাও গ্রামের প্রবাসী সালা মিয়ার স্ত্রী। আহত গৃহবধূ দিলরুবা বর্তমানে দিলরুবা ইয়াসমিন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
দিলরুবা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমাকে দুই বছর যাবৎ বিরক্ত করত আমার চাচাত দেবর উজ্জল। এতে আমি তার মায়ের কাছে বিচার দেই। কিন্তু তার মা তাকে শাসন করতে পারছিলেন না। এরপর তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিদেশ থেকে উজ্জল দুই আড়াই মাস হয়ে যাচ্ছে দেশে এসেছে। এরপর থেকে আবার আমাকে উত্তাক্ত করে আসছে। আমি আবার তার মায়ের কাছে বিচার দেই। কিন্তু তারা আমাকে শান্তনা দিয়ে বলেন অপেক্ষা কর তাকে আবার বিদেশে পাঠিয়ে দিব। এই আশ্বাসে আমি আর আইন আদালতে যাইনি। গত বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় আমি আমার জার সাথে রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে দোকান থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। এখন সে আমার সাথে তর্কাতর্কি করে আমাকে চড় মেরে দেয়।’
দিলরুবা বলেন, ‘এরপর আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে। সে পকেট থেকে ছোট চাকু বের করে আমার মুখে আঘাত করতে চায়। আমি বাধা দেয়ায় আমার হাত কেটে যায়। এরপর ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আমাকে পিটায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘উজ্জল আমার শ্বশুড়ের চাচাতো ভাই মৃত শহিদ উল্লাহর ছেলে। সে আমাকে ইমুতে বিভিন্ন খারাপ কাজে জড়িত হওয়ার জন্য বলেছে। আমি ইমুতে ব্লক করে দেই তাকে। তার উদ্দেশ্য ছিল আমার সাথে অবৈধ প্রেম করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে এমন নির্যাতন করেছে। আমি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আইনগত ব্যবস্থা নিব। ’
এবিষয়ে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তি বলেন, এটি খুবই খারপ ঘটনা। ভিকটিম অভিযোগ দিলে আমরা আইগত ব্যবস্থা নিব। বিষয়টি তদন্তের জন্য আমি খোঁজ নিচ্ছি।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ