পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ একজনসহ দুই পক্ষের মোট আহত পাঁচ।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাউফল উপজেলার নওমালা কলেজ সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নওমালা ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের (নৌকা প্রতীক সমর্থক) এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাদা হাওলাদারের (ঘোড়া প্রতীক সমর্থক) মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মো. সজীব (২০) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সজীব নাওমালা ইউনিয়নের নিজবটকাজল গ্রামের নাসির প্যাদার ছেলে।
আহত সজিবকে শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. তাসিফুল ইসলাম করে বলেন, সজীবের অস্ত্রোপচার করতে হবে। অস্ত্রোপচারের আগে বলা যাবে না ওটা কি! সজীবকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত সজিব বলেন, সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশ আসলেও, নৌকার সর্মথকরা পুলিশের সামনেই গুলি চালায়। আর এতে আমি গুলিবিদ্ধ হই।
স্থানীয়রা জানান, নওমালা ৬ নম্বর ওয়ার্ডটিতে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক বেশি। রাতে নৌকার সমর্থকেরা ওই এলাকায় ঢুকে । রাত সাড়ে নয়টার দিকে সাহা গাজীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদার বলেন, ‘জনসমর্থন নাই বলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে নৌকার প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা। পুলিশের উপস্থিতিতে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর গুলি করে আহত করা হয়েছে। এর পরিমান ভালো হবে না।’
শাহাবুদ্দিন আকন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,‘আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি আমার বাসায় অবস্থান করেছিলাম।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,‘গুলি ছোড়ার বিষয়টি সত্য না। তবে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়েছে। যা পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ