ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গী থেকে কাতিহার হাটের মাঝামাঝি ভাঙা কালভার্টিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। এতে বিপাকে পড়েছেন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন মীরডাঙ্গী থেকে ঐতিহ্যবাহী কাতিহারহাট পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক। শুধুমাত্র এই জরাজীর্ণ সেতুটির কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে এ সড়কটি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কালভার্টটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না। যার কারণে সড়কটিতে ভারি কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। হালকা যানবাহনও চলছে চরম ঝুঁকি নিয়ে। কালভার্টের ছাদের বড় অংশ ভেঙে পড়ে আছে। ভেঙে যাওয়া অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর উপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। শুধু ভেঙে যাওয়া অংশই নয় পুরো কালভার্টটিই এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।
কালভার্টটির ভগ্নদশার কারণে এখন আর কোন বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার যাতায়াত করতে পারছে না। অন্যদিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি, রিকশা, নছিমন, করিমনসহ ছোট ছোট যানবাহন চরম ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টটি পার হচ্ছে। এতে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এই কালভার্টটি দুই ধাপে ভেঙে পাথরের ঢালাই উঠে খাল হয়ে প্রায় দুই ফিট করে দুই স্থানের রড বেরিয়ে পড়েছে। কালভার্টের ওপর দিয়ে সাইকেল মোটরসাইকেল দেখে শুনে চলাচল করা গেলেও রাতের আঁধারে অচেনা গাড়িচালক পথচারীরা পড়ে যেতে পারে বিপদে।
পথচারী প্রফুল্ল জানান, ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পরে আছে। কোন সংস্কার করা হচ্ছে না। এ যাবৎ অনেক দুর্ঘটনা এখানে ঘটেছে। আমি এলজিইডির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো ব্রিজটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম জানান, আমার জানামতে কালভার্টটি অনেকদিন ধরে ভাঙা। অনেকবার আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। অনুমোদন সাপেক্ষে ওখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ