শিবচরের ভ্যানচালক পারভেজ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ২ সপ্তাহ অতিবাহিত হলে নিহতের ২ বন্ধুকে গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডের মোটিভ বের হয়ে আসে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গানে যাওয়ার কথা বলে মাদকসেবীরা পারভেজকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে ভ্যানটি মাত্র ১০ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করে। ওই রাতেই হত্যাকারীরা ওই টাকা নেশা করে ও জুয়া খেলে উড়িয়ে ফেলে। এমনই চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক তথ্য বের হয়ে এসেছে পারভেজ হত্যাকাণ্ডে।
জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর সকালে শিবচরের বন্দরখোলার ইউনিয়নের রহমতউল্লাহ হাওলাদারকান্দি শ্বশুর বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো ভ্যান নিয়ে বের হয় একই উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের ফকির রনাই মুন্সিকান্দি গ্রামের মো. বাবুল ফকিরের ছেলে পারভেজ ফকির (২৪)। রাতেও পারভেজ বাড়িতে না আসায় পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো লাভ হয়নি। পরদিন ফরিদপুরের ভাঙ্গার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী ধানক্ষেত থেকে পারভেজের লাশ উদ্ধার করে ওই থানা পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে থাকলেও পরে লাশটি শনাক্ত হয়।
এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। ১৪ দিন টানা তদন্তে তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্নভাবে নিশ্চিত হয় এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তার বন্ধুরাই। বৃহস্পতিবার ভাঙ্গা থানার এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে শিবচরের সন্ন্যাসীরচর থেকে গ্রেফতার করা হয় হৃদয় মাদবর ও আজিজুল মুন্সী নামের ২ যুবক। গ্রেফতারকৃত ২ জনই হত্যাকাণ্ডের শিকার পারভেজ ফকিরের বন্ধু। এই দু’জন গ্রেফতারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে হত্যার রহস্য । হৃদয় ও আজিজুল মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী। ১৩ অক্টোবর গান শোনার কথা বলে এ দুজন পারভেজকে ভাঙ্গায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে কোল্ড ড্রিংকসের সাথে নেশাদ্রব্য মিশেয়ে খাওয়ানো হয়। পরে পারভেজকে ভাঙ্গার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী ধানখেতে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পরে হত্যাকারীরা পারভেজের ভ্যানটি স্থানীয় একটি বাজারে ১০ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করে। রাতেই তারা ওই টাকা জুয়া খেলে ও মাদক সেবন করে নষ্ট করে ফেলে। এদিকে পরদিন ১৪ অক্টোবর পুলিশ পারভেজের লাশ উদ্ধার করে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ