জাহানুর বেগমের বড় ছেলে বিএম কলেজের সমাজ কল্যাণ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সবুর হাওলাদার, ছোট ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ব্যবসা করেন। বড় মেয়ে সাবিনা আক্তার তিনি কাছাকাছি ভাড়া বাসায় থাকেন।
একমাত্র ছোট মেয়ে শাহিদা আক্তার অসুস্থ মায়ের দেখাশোনা করছেন। তিন মাস ধরে গুরুতর অসুস্থ সত্তরোর্ধ জাহানুর বেগম খুলনায় সোনাডাঙ্গায় তার নামে থাকা কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বিক্রি করতে দিনপনেরো আগে অ্যাম্বুলেন্স যোগে গিয়েছিলেন। তবে তার ছোট ছেলে এবং বড় মেয়ে বাধা দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
অসুস্থ জাহানুর বেগম এখন নগরীর বৈদ্যপাড়ায় যে ঘরে ভাড়া থাকেন তার মালিক বলেন, এদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব দীর্ঘ বছরের। এজন্য তার তিন মাসের ভাড়া বকেয়া পড়েছে। অসহায় বলে নামাতেও পারছেন না।
বড় ছেলে বিএম কলেজের অধ্যাপক ছোট ছেলে ব্যবসায়ী তারপরও বৃদ্ধ মায়ের প্রতি এমন অবহেলা যা সবাইকে ব্যথিত করেছে। পাশাপাশি আদালতের বিচারকের নিজ থেকে উপস্থিত হয়ে মামলা গ্রহণের বিষয়টি প্রশংসিত হচ্ছে।
বাড়িওয়ালা হাফেজ পারভেজ বলেন, তাদের পারিবারিক কলহের কারণে ৩ মাসের ভাড়া দিতে পারছে না আর অসুস্থ এই মাকে বাড়ি থেকে যেন বের করে দেয়া হয় এমনই বলে গেছে তার এক ছেলে।
এ নিয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ জানান, তাকে সঙ্গে করেই বিচারক গিয়েছিলেন মামলা গ্রহণ করতে। তাদের দফতর থেকেও চিকিৎসার জন্য সহায়তা করা হবে এই অসুস্থ মাকে।
মামলার আইনজীবী ফজলুল হক বিশ্বাস বলেন, বিচারক মামলা আমলে নিয়ে ১ ডিসেম্বর অভিযুক্তদের আদলতে উপস্থিত হওয়ার সমন জারি করেছেন।
বৃদ্ধ অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা ও ভরণপোষণ না দেয়ার পাশাপাশি তার নিজ নামের জমি বিক্রি করতে বাধা দেয়ায় ছেলে ও মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জাহানুর বেগম নামক এক মা। তবে তিনি চলাফেরা করতে অক্ষম হওয়াতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বৃহস্পতিবার আদালতের শেষ কার্যদিবসে নগরীর বৈদ্যপাড়ার ভাড়া বাসায় গিয়ে মামলাটি গ্রহণ করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত ছোট ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান এবং বড় কন্যা সাবিনা আক্তারকে পহেলা ডিসেম্বর আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ