২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসাবে খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাট। গতকাল দৌলতদিয়া হতে ছেড়ে যাওয়া পাটুরিয়া ৫ নং পন্টুনে ফেরি আমানত শাহ ডুবে যাওয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের উভয় প্রান্তে এখন নদী পারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন।
১০-১২ ঘণ্টা ধরে মহাসড়কে অপেক্ষা করেও এ সকল ট্রাক, লড়ি, কাভার্ডভ্যানের চালকরা ফেরির দেখা পাচ্ছেন না। তবে উভয় প্রান্তের ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছেন, ‘ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় কোন প্রভাব পড়েনি ফেরি চলাচলে। স্বাভাবিক রয়েছে ফেরি চলাচল।’
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট ঘুড়ে দেখা যায়, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে কার্ভাডভ্যান ও পণ্যবোঝাই ট্রাকের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী ট্রাক ও কার্ভাড ভ্যানসহ অন্যান্য জেলামুখী গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এছাড়াও বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় পাটুরিয়া ৫ নং ঘাটে আনলোড করতে যাওয়ার সময় আমানত শাহ ফেরি ডুবির ঘটনার পর থেকে ঘাট এলাকায় যানবাহনের সারি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় ৫ থেকে ৬ শত ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে।
বরিশাল থেকে আসা ট্রাক চালক কফিল উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল বিকেল থেকে গোয়ালন্দ মোড়ে সিরিয়ালে আটকে থাকি। এরপর আজ সকাল ১০ টার দিকে ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হলেও এখনো ফেরির দেখা পাবো না। কমপক্ষে আরো ৩-৪ ঘন্টা পর হয়ত ফেরির দেখা পেতে পারি। জানিনা কখন ফেরির দেখা পাবো? আর কখন ঢাকা পৌঁছাবো?
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় সব মিলে মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কার্যালয় (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে, এই দীর্ঘ যানবাহনের সারি ঘাট এলাকায় যেন না থাকে সে জন্য আমরা চেষ্টা করছি গাড়িগুলো দ্রুত পারাপার করানোর তবে অগ্রাধিকার ভাবে যাত্রীবাহী পরিবহন, শিশু খাদ্যের পরিবহন, জরুরী রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স আগে পার করার চেষ্টা করছি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ