ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শ্রীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ৭০ পদ খালি

প্রকাশনার সময়: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৯:০৫

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকের অভাব এবং বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষক-অভিভাবকেরা।

শ্রীপুর উপজেলার অন্তত ১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষক না থাকায় একসঙ্গে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে অনেককে। বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, শ্রীপুরে নতুন জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয় নিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬৬টি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত পদ রয়েছে ১৬৬টি। ১৪টি স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এ ছাড়া এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ রয়েছে ৯৫৩টি এবং সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য আছে ৭০টি। শিক্ষক-সংকটের ফলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা ও প্রশাসনিক কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।

জেলায় নিয়োগ না হওয়া এখনো অন্তত দুই শতাধিক প্যানেলভুক্ত শিক্ষক আছেন। শূন্য থাকা পদে এসব শিক্ষককে দ্রুত নিয়োগ দিলে সহকারী শিক্ষকের সংকট অনেকটাই কেটে যেত।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলছেন, প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়গুলো অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। ফলে বিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখাসহ সব কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে ৯৫৩টি এর মধ্যে শূন্য রয়েছে ৭০টি এবং প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ১৬৬টি এর মধ্যে ১৪টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলায় ১৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৬ হাজার ৭৮০ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ৮৮৩ জন।

মাওনা উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তার বলেন, ‘এখন আমি সহকারী ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। প্রশাসনিক দিক সামলানোর পর প্রতিদিন সাত-আটটা ক্লাস নেওয়া খুবই কষ্টকর। মাঝেমধ্যে একই সময়ে একাধিক ক্লাস নিতে হয়। শতাধিক শিক্ষার্থীকে তাদের দু'জনকে চালাতে হচ্ছে।

শ্রীপুর উপজেলায় ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মিত ভবনগুলো জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা খুবই আতঙ্কিত। শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, এখানকার ১৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের দিয়ে সবকিছু ঠিকভাবে করা যায় না। এ ছাড়া ৮টি বিদ্যালয়ের ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর কোনোটার ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে, কোনোটার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। আমি জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ ও ভবন সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছি।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ