ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে পাঙ্গাশ

প্রকাশনার সময়: ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১১:৩৫

চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিরাপদে ইলিশ ডিম ছাড়ার লক্ষে সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ আহরণে নেমেছে জেলেরা। ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা নদীতে বিচরণ করে ইলিশ কম পেলেও জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাশ। একেক জেলে নৌকা ১০-১৫টি করে পাঙ্গাশ মাছ পাচ্ছে। একই সঙ্গে পাচ্ছে ইলিশ মাছ। আবার জমে উঠেছে মেঘনা পাড়ের আড়তগুলো। আসতে শুরু করেছেন পাইকারী ও খুচরা ক্রেতারা।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬টায় সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনার পাড়ে গিয়ে দেখাগেছে আড়ত বেশ জমজমাট। বড় বড় ট্রলারগুলো ঘাটে এসে ভিড়ছে। ট্রলার থেকে আড়তে নামানো হচ্ছে ইলিশসহ বড় বড় সাইজের পাঙ্গাশ। জেলেরা তাদের নির্দিষ্ট আড়তে মাছগুলো উঠাচ্ছে। হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে পাইকারী ও খুচরা।

সদরের হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গ্রামের জেলে আলম ও মোহাম্মদ হোসেন জানান, গত মধ্যরাতে ১০ জন জেলে নৌকা নিয়ে নদীতে নেমেছেন। ভোরে আড়তে এসেছেন। ইলিশ মাছ পেয়েছেন প্রায় ৩০ কেজি। বেশী পেয়েছেন পাঙ্গাশ। তাদের পাওয়া ৮টি পাঙ্গাশ মাছের মধ্যে প্রতিটি বিক্রি হয়েছে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। ইলিশের চাইতে পাঙ্গাশ পেয়ে তারা অনেক আনন্দিত। গোল্টি জালেই পাঙ্গাশ বেশী ধরা পড়ে।

চাঁদপুর শহরের রঘুনাথপুর এলাকা থেকে হরিণা আড়তে ইশিল কিনতে এসেছেন রাকিব হোসেন তার চাচা আব্দুল্লাহ। রাকিব বলেন, ইলিশ শহরের বাজারের চাইতে হরিণা আড়তে দাম কম। তিনি ৬টি বড় সাইজের ইলিশে ডাকে কিনেছেন ২ হাজার ৮শ’ টাকা দিয়ে। ওজন হবে ৫ কেজির চাইতে বেশী।

আড়ত থেকে ঠিকা ছোট ও বড় সাইজের ইলিশ ক্রয় করে স্তূপ করছেন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর গাজী। তিনি বলেন, আমি সব সময় এই আড়ত থেকে পাইকারী ইলিশ ক্রয় করে ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা বাজারে বিক্রি করি। ভোরে আসা হয়েছে আড়তে। ২২ দিন পর আজ শুরু হলো ব্যবসা। ইলিশের দাম মোটামোটি ভাল। তবে পাঙ্গাশের আমদানি অনেক বেশী। ১৪টি আড়তের মধ্যে অধিকাংশ আড়তই আজকে পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে।

ঘাটের প্রবণী মৎস্য ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, অভিযান মাত্র শেষ হয়েছে। জেলেরাও মধ্যরাত থেকে নেমেছে নদীতে। ভোর থেকেই ইলিশসহ পাঙ্গাশ মাছ আসছে। আশা করা হচ্ছে ইলিশ ও পাঙ্গাশের আমদানি হবে।

অপর মাছ ব্যবসায়ী মোক্তার গাজী বলেন, প্রতিটি পাঙ্গাশ মাছ গড়ে ৫ হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। আমাদের আড়তের মাছগুলো ঠিকা বিক্রি হয়। ইলিশ প্রতি হালি বড় সাইজের ২হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। ছোট সাইজের ইলিশের হালি ৪শ’ ও ৫শ’ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য পদ্মা-মেঘনায় গত ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণই বন্ধ রাখা হয়। সাগর থেকে উঠে আসা সব প্রজাতির মাছেরই বিচরণ বাড়ে নদীতে। আশা করছি এখন ইলিশসহ সব ধরনের মাছের আমদানিই বাড়বে। তবে গত কয়েকবছর পাঙ্গাশের আমদানি অনেক বেড়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ