টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে প্রেমিকের কথায় রাজি না হওয়ায় এক স্কুল শিক্ষার্থীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সোমবার (২৫ অক্টোবর) পুলিশ বখাটে হৃদয়কে (১৮) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত হৃদয় উপজেলার ছয়আনী বকশিয়া এলাকার টেক্কা মিয়ার ছেলে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বকশিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভুঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ওই ছাত্রী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে৷। পরে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর নানা বাদী হয়ে রোববার হৃদয়কে আসামী করে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
আহত স্কুল ছাত্রী জানান, গত ২বছর আগে বকশিয়া এলাকার হৃদয়ের সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন তাদের সম্পর্ক চলমান থাকার এক পর্যায় গত ২ মাস পূর্বে বিষটি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে দুই পক্ষ মিলে সমঝোতায় পৌঁছায় এবং সেখানে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ২ বছর পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। এব্যাপারে ২ পক্ষের অভিভাবকই স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে সমঝোতা করেন।
এদিকে প্রেমিক হৃদয় কিছু দিন যেতে না যেতেই প্রেমিকাকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বলে এবং তার অনুমতি ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রেমিকা তার কথায় কর্ণপাত না করে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়াসহ স্বাধীনভাবেই চলাচল করতে থাকে। এতে হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায় কথা না শুনলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর থেকেই প্রেমিকা স্কুল ছাত্রী হৃদয়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয় হৃদয়।
গত শনিরাব সন্ধ্যায় হঠাৎ প্রেমিকার বাসায় গিয়ে হাজির হয় হৃদয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রেমিকার ঘরে গিয়ে চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মেরে ফেলার চেষ্ঠা করে। পরে পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে হৃদয় সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার ওসি আজাহারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘এ ঘটনায় রোববার রাতে বখাটের ছাত্রীর নানা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি দায়ের করেছেন। মামলা হওয়ার পরেই আমাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ