মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পুলিশের এক এসআই শাহীদুল আলমের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারহানা কবিরের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে হেমায়েতপুর মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সিংগাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন। তবে পুলিশ বলছে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ডা. ফারহানা কবির জানান, সোমবার সকালে উপজেলার ফোর্ডনগর কমিউনিটি ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রওনা দেই। সিংগাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই চেকপোস্টে থাকা পুলিশ সদস্যরা সরকারি গাড়িটি আটকে দিলে আমার পরিচয় দেই এবং কাজে যাওয়ার কথা জানাই। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা বলেন এখানে দায়িত্বে থাকা স্যার অনুমতি দিলে গাড়ি ছেড়ে দিবো। পরে আমার সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিদর্শক গিয়ে চেকপোস্টে থাকা এসআই শাহীদুল আলমের কাছে গিয়ে বলার পরও আধঘণ্টা গাড়িসহ আমাদের আটকে রাখেন। প্রকাশ্যে এভাবে একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অপমান হতে হলো। বিষয়টি খুব দুঃখজন। পরে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিংগাইর থানা এসআই শহীদুল আলাম বলেন, কঠোর লকডাউনের কারণে রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্টে গাড়ি চেক করার সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার ওই কর্মকর্তার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার সঙ্গে চেকপোস্টে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তার সমাধান হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে আরও সর্তকতার সঙ্গে দায়িত্বপালনের কথা বলা হয়েছে সকল পুলিশ সদস্যকে।
মানিকগঞ্জের সিলিভ সার্জন ডাক্তার আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, একজন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়ার পরেও তার কাজে বাধা এবং গাড়ি আটকে রাখা এটা খুবই অপমান ও দুঃখজনক। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থার জন্য পুলিশ সুপারকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন অভিযুক্ত এসআই শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এমএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ