তিস্তায় আকস্মিক উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) মহা পরিচালক ফজলুর রশিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সমূহ পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় ফজলুর রশিদ বলেন, ‘ডেল্টা প্লানের আওতায় ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের ছোট ছোট নদীগুলো খনন করা হয়েছে। এতে নদীগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ড্রেনেজ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গত বছর পরপর পাঁচটি বন্যা আঘাত হানলেও এ অঞ্চলে বন্যার পানির উচ্চতা বারেনি। ডেল্টা প্লানের আওতায় ছোটছোট খাল, বিল ও নদীগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারলে এ অঞ্চলে বন্যার প্রকোপ হ্রাস পাবে।’
তিনি বলেন, ‘চলতি বন্যায় তিস্তা ফ্লাড বাইপাসসহ কমান্ড এলাকার দশটি স্থানে ৯৩০ মিটার বাঁধ ধ্বসে গেছে। এতে বাঁধের ক্ষতির পরিমান ১৫ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত এসব বাঁধ পুরনো নকসা অনুযায়ী শিগগিরই মেরামত করা হবে।’
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক (পশ্চিম রিজিয়ন) এ, কে, এম সামছুল আলম ও বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (নকশা ও গবেষক) মো. এনায়েত উল্লাহ। এ ছাড়াও সঙ্গে ছিলেন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, রংপুর পওর সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, ডালিয়া পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফাউদদৌলা।
উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ জানান, হঠাৎ করে উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে যে বন্যা সৃস্টি হয়েছে। এর ফলে তিস্তার প্রবেশদ্বার বাংলাদেশের নীলফামারীর কালিগঞ্জ থেকে লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড ফিউজ (ফ্লাড বাইপাস) এর ৩ শত মিটার, গ্রোয়েন বাঁধের ১ মিটার, বেশ কিছু স্পার্ক ও প্রধান বাঁধের বিভিন্ন স্থান বিধ্বস্থ হয়েছে। এছাড়াও বসতভিটা, ফসলি জমি ও রাস্তা ঘাট, ব্রীজ পানির তোড়ে ভেসে গেছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ