উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের টানা বর্ষণে তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। হটাৎই নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চিলমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী চরমাদারীপুর এলাকায় এক রাতেই নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে এক মসজিদসহ ১৫টি বাড়ি। ভাঙনের মুখে রয়েছে শতাধিক বাড়ি, কমিউনিটি ক্লিনিক, কারেন্ট বাজারসহ শত শত একর আবাদী জমি।
সরেজমিন ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদী তীরবর্তি মানুষের আর্তনাদ। একরাতেই নদীগর্ভে বাড়ি ভিটে হারিয়ে নিশ্ব হওয়া পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে হাহাকার। আতঙ্গে রয়েছে নদী তীরবর্তি মানুষজন। কোন রকমে তাদের বাড়ি-ঘর ও গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এ সময় ওই এলাকার বাশ-ঝাড় বৈদ্যুতিক খুটি ও বড় বড় গাছ নদীতে বিলিন হয়ে যেতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকেল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকলেও এশার নামাজের পর থেকে দেখা দেয় নদী ভাঙনের তাণ্ডবলিলা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইলিয়াছ, সিদ্দিক, আব্দুস সালাম, মমিনুল ইসলাম, কাশেম, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রউফ, সাজেদুল, শামিউলসহ ১৫ জনের বাড়ি-ভিটে
নদীগর্ভে বিলিন হয়। ঘুমন্ত মানুষজন কোনরকমে প্রাণ বাঁচাতে পারলেও পড়নের কাপড়টুকু ছাড়া অন্যকিছু সরাতে পারেনি।ভাঙন আতঙ্কে থাকা খাদিজা বেগম কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে ভাঙন কবলি এলাকা দেখিয়ে বলেন, এখানেই আমাদের বাড়ি-ভিটে ছিল। নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকের বাড়ি ঘর নদীগর্ভে গেছে, আমরা কোন রকমে ঘর সরিয়ে নিয়েছি। এখন ভিটে ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমরা কোথায় আশ্রয় নিবো, কিভাবে চলবো কোন দিশা পাচ্ছি না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ জানান, আমার জীবনে এমন নদী ভাঙনের তাণ্ডব দেখিনি। রাত ৮টার পর থেকেই ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভোররাত থেকেই ভাঙন কবলিত এলাকায় রয়েছি আমি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ