নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬টায় তিস্তার পানি কমে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯ টায় ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) নুরুল ইসলাম।
এদিকে তিস্তার পানি কমলেও ডিমলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও জলঢাকা উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৮ হাজার পরিবারের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি রয়েছে। ৪টি বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় এক হাজার পরিবার। ফলে নতুন ভাঙ্গন আতঙ্কে নদীতীরবর্তী অঞ্চলের হাজারো মানুষ। দু’চোখে ঘুম নেই, স্বস্তিও ফেরেনি তাদের মনে।
পাউবোর ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ্দৌলা প্রিন্স বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় তিস্তার পানি কমে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯ টায় ১০ সেন্টিমিটার আরো কমে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি জানান, উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টিপাতে বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। এলাকায় জারি করা হয়েছে রেড এলার্ট। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। নতুন করে কোন বাঁধ ভাঙ্গার সম্ভাবনা নাই। তবে আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ