ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

গঙ্গাচড়ায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি

প্রকাশনার সময়: ২১ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫৮

অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা। এতে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম।

তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। পানিবন্দ লোকজনের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। বন্যায় চরাঞ্চলের সবজিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অনেকের ফসল এরইমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা ব্যারাজের ভাটি এলাকা গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের নোহালী, চর নোহালী, বাগডোহরা, মিনার বাজার, চর বাগডোহরা ও নোহালী সাপমারী, আলমবিদিতর ইউনিয়নের হাজীপাড়া ও ব্যাংকপাড়া, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, উত্তর চিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনা মাঝের চর, সাউদপাড়া ও বাবুরটারী, বাঁধেরপাড়. লক্ষিটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, পূর্ব ইচলী, জয়রামওঝা, পশ্চিম ইচলী, মহিপুর ও কলাগাছি, গজঘন্টা ইউনিয়নের ছালাপাক, গাউছিয়া, জয়দেব, রমাকান্ত, একনাথ ও কালির চর এবং মর্নেয়া ইউনিয়নের আলাল চর, তালপট্টি চর, হাজির পাড়া, নরসিংহ এবং মর্নেয়া চর এলাকায় প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা।

কোলেকান্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রাজু জানান, শুধু তার ইউনিয়নেই ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

লক্ষিটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এবারের ভয়াবহ বন্যয় আমার এলাকার তিস্তার চরাঞ্চলে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্ট বন্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, বুধবার বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ