একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি, এমন রহ রহ বিজ্ঞাপন আমরা টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পাই। আসল চেহারাটা আমরা সাধারণ মানুষ দেখতে পাইনা। এমনি বিজ্ঞাপন দেখে তাদের ফাঁদে পা দিয়ে মাথায় হাত তরুণ সমজাদের।
সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ উপজেলা কয়েকজন ভুক্ত ভোগী এখন দিশেহারা হয়ে পরেছে। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা বা ই-কমার্স ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর গোটা খাতটি এখন ভুগছে আস্থার সংকটে। ইতিমধ্যে অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন অনেক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
৩৫.৭০ বর্গ মাইলের সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা তেও ই-কমার্স সাইটে প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগীর অভাব নেই, সবার এখন হতাশায় দিন কাটছে। ই-কমার্স সাইটের মধ্যে সম্প্রতি খুব অল্প সময়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া ইভ্যালি, এসপিসি, রিং আইডির ভুক্তভোগীর সংখ্যাই বেশি। এ সকল ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রথম দিকে অস্বাভাবিক' সব অফার এবং সঠিকভাবে গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ ও মুনাফা দিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু হঠাৎ করেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তারা সময়মত পণ্য সরবরাহ দিচ্ছিল না।
তবে গ্রাহকরা এখনো আশা করছেন প্রতিষ্ঠানগুলো আইনি জটিলতা কাটিয়ে আবার ফিরে আসবে, তবে যারা পালিয়ে গিয়েছে তারা হয়তো আর ফিরবে না।
উপজেলার রিং আইডির ভুক্তভোগীরা শহিদুল ইসলাম, ওমর ফারুক নয়া শতাব্দীকে জানান, “মহামারী করোনার মধ্যে বেকার হয়ে পড়েছিলাম, এরইমধ্যে আমার জন্য হঠাৎ আশীর্বাদস্বরূপ রিং আইডি ধরাদেয়। নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছিলাম, আমার মত হাজারো বেকার যুবক স্বপ্ন দেখছিলেন রিং আইডিকে ঘিরে নিয়মিতই চলছিল সবকিছু, কিন্তু হঠাৎ করেই বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উপর অভিযোগ ওঠে সেই পরিপ্রেক্ষিতে রিং আইডির ওপরে নজর পড়ে প্রশাসনের গ্রেপ্তার করা হয় পরিচালক কে এবং রিং আইডি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে। যার কারণে আমরা বর্তমানে মুনাফা পাচ্ছিনা আশা করছি সরকার সঠিকভাবে তদন্ত করে রিং আইডির পরিচালক কে মুক্তি দিবেন এবং ব্যাংক হিসাব খুলে দেবেন না হলে আমাদের স্বপ্নগুলো অধরাই রয়ে যাবে।”’
ইতিমধ্যে ইভ্যালি আইনি জটিলতা কাটিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ফিরে আসার চেষ্টা করছে যার কারণে ইভ্যালির ভুক্তভোগীরা কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন। তবে এসপিসির ভুক্তভোগীদের হতাশার শেষ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভুক্তভোগী জানান, অনেক বেকার যুবক, শিক্ষার্থী, রিকশাচালক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ ইনভেস্ট করেছিলেন "এসপিসি'তে লোভনীয় অফারের ফাঁদে পা দিয়ে তারা এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন। তারা দাবি করেন সঠিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ইনভেস্ট করা টাকা যেন ফিরে পায় অথবা প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে আগের অবস্থানে ফিরে আসুক।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ