পটুয়াখালীতে ফিল্মী স্টাইলে কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছেন এক তরুণী। ওই তরুণীর নাম ইশরাত জাহান পাখি। আর ছেলেটি সরকারি কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র নাজমুল আকন।
অভিযুক্ত ইশরাত জাহান পাখি মির্জাগঞ্জ উপজেলার গাজিপুর গ্রামের আউয়ালের মেয়ে। নাজমুল একই উপজেলার জালাল আকনের ছেলে।
এব্যাপারে (৩ অক্টোবর) নাজমুল বাদী হয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এক নারীসহ অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে নাজমুলকে জোর করে বিয়ে করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি কক্ষে একজন তরুণীর (পাখি) বাম পাশে নাজমুল বসে আছেন। ভিডিওতে ওই তরুণীকে নীল একটি কাগজে সই করতে দেখা যায়।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, নাজমুল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। একই কলেজের ইশরাত জাহান পাখি দীর্ঘদিন ধরে নাজমুলকে মোবাইল ফোনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেখাত। কিন্তু নাজমুল রাজি না হওয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে কয়েকজন অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরদিন সাত থেকে আটজন ব্যক্তি তাকে জোড়পূর্বক একটি নীল কাগজে সই করতে বাধ্য করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত তরুণী ইশরাত জাহান পাখি দাবি করেন, নাজমুলের সঙ্গে তার দীর্ঘ দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নাজমুল নিজ ইচ্ছায় তাকে বিয়ে করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তরুণী এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আদালতের নির্দেশে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সম্পন্ন হলে পুরো বিষয়টি বোঝা যাবে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ