শরীয়তপুর সদরে পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলা সদরে ১টি করে ৭টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কোনটিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। দীর্ঘদিন যাবত জেলার সব কয়টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়াও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত।
জানা গেছে, এমারত হোসেন নামে এক শিক্ষক দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর যাবত শরীয়তপুর জেলা শহরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একই সঙ্গে শরীয়তপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও এলাকার শাহীন, শাখাওয়াত হোসেন, নাসির উদ্দিনসহ স্থানীয় কয়েক শিক্ষক অভিযোগ করেন, জামায়াত পন্থী শিক্ষক এমারত হোসেন জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘদিন যাবত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় শিক্ষক নিয়োগসহ জেলার মাধ্যমিক সরকারি শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, শিক্ষক এমারত হোসেন একই সঙ্গে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) পদে দায়িত্ব পালন করায় জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে একক কর্তত্ব স্থাপন করেন।
এদিকে কয়েক বছর যাবত শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. নজরুল ইসলাম।
জানা গেছে, প্রতিটি উপজেলা সদরে সদ্য জাতীয়করণকৃত মাধ্যমিক বিদ্যালয় যথা- ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ডামুড্যায় সরকারি ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, গোসাইরহাটে সরকারি ইদিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নড়িয়াতে সরকারি বিহারীলাল উচ্চ বিদ্যালয় ও জাজিরা উপজেলা সদরে সরকারি মোহর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। জেলা ও উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এসব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় এক দিকে যেমন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার বিঘ্ন ঘটছে অন্য দিকে অদক্ষ ভারপ্রাপ্ত প্রধানদের দিয়ে বিদ্যালয় চালানোর ফলে বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নসহ শিক্ষার গুণগত মান ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সাংবাদিকদের এমারত হোসেন বলেন, আমি জামায়াত পন্থী নই। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও একক কর্তৃত্ব স্থাপন করি না। তাছাড়া আমি কোন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে চাই না। আমাকে বাধ্য করা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ