শত বছরের গ্রামীণ ঐতিহ্য নৌকা বাইচ। এই প্রতিযোগিতা দর্শকদের মনে প্রশান্তি ও আনন্দ জোগায়। হৈ-হুল্লোড় ও আনন্দে ভরপুর থাকে পুরো এলাকা। কখন শুরু হবে কাঙ্খিত এই খেলা তা দেখতে দর্শকরা গভীর আগ্রহে থাকেন।
হারাতে বসা পুরনো এই গ্রামীণ ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং মানুষকে আনন্দ দিতে রাজশাহী বাঘায় পদ্মা নদীর ঘাটে আয়োজন করা হয় দুইদিনব্যাপী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।
পদ্মাপাড়ে এই নৌকা বাইচ দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে। শুক্র ও শনিবার দুইদিন বিকেলে বাঘার গড়গড়ি ইউনিয়নের বেংগাড়ী পদ্মা নদীর ঘাটে নৌকা বাইচ দেখতে হাজারো মানুষ হৈ-হুল্লোড় ও আনন্দে মাতুয়ারা হয়ে উঠে।
শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে এবং মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বেংগাড়ী পদ্মা নদীর ঘাটে দুইদিনব্যাপী এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার প্রতিযোগিতার শেষদিনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি।
উপস্থিত ছিলেন, বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, সদস্য মাসুদ রানা তিলু, ওসি সাজ্জাদ হোসেন, গড়গড়ি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান প্রমুখ।
এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম দিন শুক্রবার বিভিন্ন স্থান থেকে শ্যালো চালিত ও দ্বিতীয় দিন শনিবার হাত বৈঠা চালিত নৌকা নিয়ে পৃথকভাবে প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ করেন। পদ্মা নদীর খায়েরহাট থেকে শিমুলতলা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
নৌকা বাইচের আয়োজক গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি জানান, শত বছরের গ্রামীণ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে মানুষকে আনন্দ দিতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী এ নৌকা বাইচ উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। পদ্মা নদীর দু-কূল, নৌকা বাইচ চলাকালীন অভূতপূর্ব দৃশ্যপট পুলকিত করে দর্শকদের। মনে আনন্দের দোলা দেয়। আগামীতে আরো ব্যাপক পরিসরে নৌকা বাইচ আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ