১৯৮৫ সালে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে কাকুরা ফাজিল মাদ্রাসার আঙিনায় প্রতিষ্ঠা হয় ‘কাকুরা আল মদিনা এতিমখানা’। পরে ১৯৯৭ সালে এতিমখানাটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধনের আওতায় আসে। সে সময় থেকেই প্রতিমাসে এতিমদের উন্নয়নের জন্য নিয়মিত সরকারি ভাতা উত্তোলন করা হচ্ছে। এই ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে এতিমদের জন্য সরকারি টাকা আসলেও কাকুরা আল মদিনা এতিমখানার দুয়েকজন ছাড়া বিষয়টি জানতেন না আর কেউ। সম্প্রতি এতিমখানার পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে দেখা দেয় দ্বন্দ। তখনিও টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানি হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগের তীর এতিমখানার পরিচালক এবং সমাজসেবা কর্মকর্তার দিকে। তারা দাবী করে বলছেন পরিচালক ও সমাজসেব কর্মকর্তার পারস্পরিক যোগসাজশে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বর্তমানে এতিমখানায় ২০ জন এতিমের নামে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা আসে। এতিমখানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এতিমখানার পরিচালনা পর্ষদ কাউকে না জানিয়ে ওই টাকা উত্তোলন করে আসছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুর রহমান ও আবু বকর সিদ্দিক, আবুল কাশেম ও জনি তালুকদার জানান, এতিমখানা প্রতিষ্ঠার পর এটি এলাকাবাসীর অনুদানে চলছে। সরকার থেকে নিয়মিত সহযোগিতা আসলেও এতোদিন এলাকার কেউ জানতেন না। তাদের অভিযোগ, ‘ওই টাকা পরিচালক ও সমাজসেবা কর্মকর্তা মিলে আত্মসাৎ করেছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে এতিমখানার পরিচালক ইদ্রিস আলী বলেন, আমার জানামতে আমি এতিমখানার এক টাকাও আত্মসাত করিনি। অজ্ঞাতভাবে ভুল করে কখনো কিছু খেয়েছি কিনা তা এখন বলা সম্ভব নয়। আমার বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তারা এতিমখানার পরিচালনা কমিটিতে আসতে চান।
এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুবেল মন্ডল বলেন, ‘মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে এখন এতিখানার তদারকি করা যাচ্ছে না। এতিম আছে কিনা তাও যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ