জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এ উপলক্ষ্যে প্রাপ্ত সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নগর ভবনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের হাতে তুলে দেন সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ। গৌরবের অর্জনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাসিক মেয়র।
এ ব্যাপারে রাসিক মেয়র এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন স্বাস্থ্য বিভাগ ইপিআই কার্যক্রমে পর পর ১০ বার প্রথম হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে। অনুরূপভাবে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে এ বছর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এ জন্য এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ওয়ার্ড সচিব, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, স্বাস্থ্য সহকারী, এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মেয়র আরও বলেন, জন্ম নিবন্ধন শিশুর অধিকার। সুন্দর জীবন বিকাশের স্বার্থেই শিশুর প্রতি ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্র প্রত্যেকেই যত্নশীল। শিশুর পরিচয় ও অধিকার রক্ষায় তার বয়স নির্ধারণ জরুরী। শিশুর পরিচয়, বয়স, কখন কোথায় সে জন্মগ্রহণ করেছে, কে তার পিতা-মাতা ইত্যাদি প্রশ্ন আইনগতভাবে জিজ্ঞাসা ও সমাধানের জন্য প্রয়োজন জন্ম নিবন্ধন সনদ। জন্ম নিবন্ধনের গুরুত্ব বুঝেই বাংলাদেশ সরকার ২০০৬ সালে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করে যা চলমান। শিশুর জন্ম নিবন্ধনের সাথে সাথেই ঐ শিশুকে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করার আইনগত অধিকার অর্জন করবে।
উল্লেখ্য, গতকাল ৬ অক্টোবর জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২১ উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নিকট হতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে সম্মাননা স্মারক ও সনদ গ্রহণ করেন রাসিকের সচিব মো. মশিউর রহমান।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ