করোনাকালীন সময়ে বাল্যবিবাহ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। তবে এই অবস্থায়েও নিজের বাল্যবিবাহ নিজে ঠেকিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কুড়িগ্রামের মোনালিশা।
মোছা. মোনালিশা আক্তার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়লই উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। গ্রামের মেয়ে হয়েও নিজের বাল্যবিবাহ নিজেই প্রতিরোধ করায় তার এই সাহসিকতার পুরস্কার হিসেবে তাকে সংবর্ধিত করলেন উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ফুলবাড়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে তার হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাশ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাক্তিগত ফাণ্ড থেকে মোনালিশাকে প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা প্রদান করার ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আতাউর রহমান শেখ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সোহেলী পারভীন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজীব কুমার রায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান, মোনালিশার মা মুক্তা বেগম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত মাসের ২৫ সেপ্টেম্বর ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই গ্রামের মফিজুল হক খন্দকারের মেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী মোনালিশা আক্তার মিমের বিয়ে ঠিক করে তার বাবা-মা। অভাবের সংসারের তার বাবা-মা একটি ভালো পরিবারের ছেলের সন্ধান পাওয়ায় মোনালিশার বিয়ে অনেকটা পাকাপোক্ত করে।
বিষয়টি জানতে পেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী মোনালিশা নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে বাবা-মাকে বুঝিয়ে তার বাল্যবিয়েটি ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন তার সাহসিকতা ও মেধার সম্মান দিয়ে তার জন্য আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ