আদালতে হাজিরা দিতে এসে জেলহাজতে গেলেন নেত্রকোনার মদনের ২৮ নেতাকর্মী। ৫ আগস্ট পরবর্তী একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজিরা দিতে আসলে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান আদালতের বিচারক।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম রাজিবুল হাসান শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন।
জানা গেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর মদন উপজেলার চাঁচগাও চকপাড়া গ্রামের মো. শামছুল হক বাদী হয়ে ৩৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মদন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের মামলায় ৩৯ জন আসামির মধ্যে ২৮ জন জামিন আবেদন নিয়ে আজ দুপুরে হাজিরা দিতে এসেছিলেন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামলার পর্যালোচনা শেষে প্রত্যেকের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আসামিদের সকলেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদধারী নেতাকর্মী। তবে ২৮ জনের মধ্যে বুলবুল মিয়া নামের একজনের বয়স কম থাকায় তাকে আলাদা সংশ্লিষ্ট হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন আদালত।
আসামিরা হলেন- ছন্দু মিয়া (১ নং আসামি), আল আমিন (৩ নং আসামি), সেলিম (৪ নং আসামি), জিয়াউল করিম (৫ নং আসামি), মিজানুর রহমান মিলন (৭ নং আসামি), আমির হামজা (৮ নং আসামি), আবুল কালাম আজাদ (৯ নং আসামি), এরশাদ তালুকদার (১১ নং আসামি), আনোয়ার হোসেন (১৪ নং আসামি), শফিকুল ইসলাম (১৫ নং আসামি), গোলাম কিবরিয়া (১৭ নং আসামি), কোহিনুর (১৯ নং আসামি), শহিদুল ইসলাম (২০ নং আসামি), শফিকুল ইসলাম (২১ নং আসামি), আল আমিন (২৩ নং আসামি), হাদিছ মিয়া (২৪ নং আসামি), সাফায়েত উল্লাহ রয়েলে (২৫ নং আসামি), খাইরুল ইসলাম (২৬ নং আসামি), মহিদুল ইসলাম মামুন (২৭ নং আসামি), এখলাছ খা (২৮নং আসামি), নূর খা (২৯ নং আসামি), মদন পৌনসভার সাবেক মেয়র আব্দুল হান্নান শামীম (৩০ নং আসামি), সাত্তার মিয়া (৩১ নং আসামি), আনোয়ার হোসেন আনু (৩৭ নং আসামি), অকুল (৩৮ নং আসামি) ও রফিকুল ইসলাম (৩৯ নং আসামি)।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ