হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় বেশি সমস্যায় পড়েছেন সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কাজে যেতে পারছেন না তারা। এ ছাড়া দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্ৰি রেকর্ড করা হয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছে। গত তিনদিন ধরে বেলা ১১টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে পুরো জেলা। পরেও সূর্যের দেখা যায় না, বিকেলের দিকে তীব্রতা আরো বেশি দেখা যায়। সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের নামে ঘন কুয়াশা। সেই সঙ্গে থাকে মৃদু বাতাস। এদিকে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষজন।
কালীগঞ্জ উপজেলার চলনলা ইউনিয়নের খোকন মিয়া সকালে বোরো ধানের জমি তৈরি করতে মাঠে নেমেছেন।
তিনি বলেন, মনেহচ্ছে বরফ গলা পানিতে নেমেছি। ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসছে।
কাকিনার কৃষি শ্রমিক আসাদুল ইসলাম বলেন, হাড় কাঁপানো শীত। সবাই কষ্টে আছেন। অনেকে খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
ভোটমারী ইউনিয়ন এলাকার নির্মাণ শ্রমিক রহিম মিয়া বলেন, শীতে বাড়ির থেকে বের হওয়াই কঠিন। এ শীতে কাজ করব কেমন করে? শীতের জন্য বেকার বসে আছি।
কাকিনা গ্রামের তিস্তা নদীর বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, নদীর পাশে হামার বাড়ি। রাত হইলে নদীর ঠাণ্ডা বাতাস শিনশিন করি নাগে।
রংপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আজ সকাল ৯টায় লালমনিরহাট সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলছে না তবে আবহাওয়া আরও নিম্নমুখী হতে পারে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ