রাজশাহী রেল স্টেশনে টিকিট নিয়ে অনিয়মের জেরে ভাংচুর ও টিসি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে বুধবার (৬ অক্টোবর) অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে টিকিট শেষ হয়ে যায়। এছাড়া অসাধু চক্রের টিকিট বাণিজ্যের প্রতিবাদের শিক্ষার্থীসহ ভুক্তভোগীরা বুধবার সন্ধ্যায় এ বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রেল স্টেশনের বুথে প্রায় দেড় হাজার অতিরিক্ত যাত্রী ইন্টারনেটে টিকিট কাটেন। কিন্তু পরে ট্রেনের টিকিট নিয়ে যাত্রীরা উঠতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
বিকেলে পদ্মা ট্রেনের টিকিট কেটেও যেতে না পারায় বিক্ষোভ শুরু করেন যাত্রীরা। তারা স্টেশন ঘেরাও করে ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পশ্চিম রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ জানান, ‘শিক্ষার্থীরা পদ্মা ট্রেনের টিকিটেই পরবর্তীতে ট্রেনে যেতে পারবে যাত্রীরা। এছাড়া খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ১০৬ টি আসনের একটি নির্দিষ্ট কোচ লাগানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীগামী কমিউটার ট্রেনে গিয়ে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তারা ঐ কোচে ঢাকা যেতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের নির্ধারিত আসনের চেয়ে যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। ট্রেনে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। এরপর টিকেট কেটে সিট না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীরা এ ঘটনা ঘটায়।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ