বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডক্টর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের উপরে রয়েছে। গত পাচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন। প্রথম দিকে বলেছিলাম ১০টি ব্যাংক দেওলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু এখন তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রেক্ষাপট এখন পরিবর্তন হচ্ছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের উপজেলা অডিটোরিয়ামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ৪০০তম শাখা হিসেবে ঘাটাইল শাখার উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ডক্টর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং খাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে এখন ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে আগাতে পারবে না। রাষ্ট্রের অর্থনীতি পূর্ণ গঠন করতে হলে এই ব্যাংকিং খাতকে পূর্ণ গঠন করতে হবে। সবমিলিয়ে ইসলামী ব্যাংক এখন শীর্ষেই অবস্থান করছে এবং আন্তর্জাতিক মানে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। ইসলামী ব্যাংকিং খাতকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিলো। বৈশ্বিক বাণিজ্য আমাদের বিশাল ঘার্টতি ছিলো। রিজার্ভের পতন হচ্ছিলো। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। গত আসস্ট মাসের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই। রেমিট্যান্সের বিরাট প্রবাহ পরিবর্তন হয়েছে। গত ৫ মাসে আমাদের ৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত রেমিট্যান্স এসেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অর্থের প্রাচার কমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ব্যাংকিং খাতে আমাদের সঞ্চয় বাড়ছে না। আমাদের মূল্যস্ফীতি এখনো অনেক বেশি রয়েছে, এটি কমাতে হবে।
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, ইনডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
এ সময় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফিতা কেটে ইসলামী ব্যাংকের শাখার উদ্বোধন করেন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ