বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের পর সবচেয়ে আহত-নিহত হয়েছে শ্রমিক, মেহনতি মানুষ। কিন্তু পাচঁ মাসেও গণঅভ্যুত্থানের ফসল শ্রমিকদের ঘরে উঠেনি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ডে ভোটের অধিকার সহ শ্রমিকদের সকল গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল কমিটির এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে শ্রমিকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। অথচ গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-যুবকদের পর সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছে আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিক, সাধারণ শ্রমজীবী, নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষ। সেই মানুষের দৈনন্দিন জীবেন যে সংকট সেই সংকট এখনো পর্যন্ত সমাধান হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ১৫ বছর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে খেয়েছে আর এখন বিগত পাঁচ মাসেও দ্রব্যমূল্যের দাম কমেনি। শ্রমিকরা এক কেজি মাংস কিনে খেতে পারে না, মাছ কিনে খেতে পারে না। যে বেতন পায় তা দিয়ে মাত্র ১৫/২০ দিন খেতে পারে তারা। তাই শ্রমিকদের মজুরি নূন্যতম ২৫ হাজার টাকা করতে হবে।
একই সঙ্গে শ্রম কমিশনের পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য মজুরি কমিশন গঠনেরও জোর দাবি করেন তিনি।
এরই মধ্যে প্রায় ১০০ মত কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। কোন সচেতন শ্রমিক কারখানায় নৈরাজ্য করতে পারে না। তাই শ্রমিকদের নিয়েই সমন্বয় করেই কারখানাগুলো খুলে দেয়ার দাবিও জানান এ নেতা।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য অরবিন্দু বেপারী বিন্দু বলেন, শ্রমিকদের সকল গণতান্ত্রিক, ভোটাধিকার, মানবাধিকার সহ সকল দাবি দাওয়া বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রমিকদের সাথে যে ১৮ দফা চুক্তি হয়েছিল, তা প্রতিটি গার্মেন্টস মালিকদের বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য অরবিন্দু বেপারী বিন্দুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজনৈতিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ