জয়পুরহাটে ব্যতিক্রমধর্মী পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবার। ৩টি পূজা মণ্ডপে শুধু নারী পুরোহিতরাই পূজার আনুষ্ঠানিকতা ও ঠাকুরের কাজ করবে। মণ্ডপগুলো হলো বাগজানা আদিবাসী চকসম মহিলা সংঘ প্রয়োবপুর পূজামণ্ডপ, আটাপুর ইউপি নীলতা সার্বজনীন মন্দির।
এইসব মন্দিরের চকসমসের মহিলা সংঘের সভাপতি ভাদী রানী বর্মণ, সেক্রেটারি আলতারানী, প্রয়োবপুর শেফালী সংঘের সভাপতি তারামুনি হালদা, নীলতা সার্বজনীন মন্দিরের সভাপতি কাকলী রানী দৈনিক নয়া শতাব্দীকে জানান, “তারা শুধু নারী পুরোহিত দিয়ে পূজার কাজ চালিয়ে যাবে এখানে পুরুষের কোন প্রয়োজন হবেনা। নারী-পুরুষ সবাই এই পূজা উপভোগ করতে পারবে। নারী পুরোহিত দিয়ে দুর্গোৎসবের কাজ সম্পন্ন করবে।”
যতই দিন এগিয়ে আসছে জয়পুরহাটের পূজা মণ্ডপগুলোতে সাজসজ্জা ততই বাড়ছে। প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত হয়ে পড়ছে তাদের রং-এর শেষ আঁচর দিতে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা দেবী দুর্গাকে বরন করে নিতে। আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপনে প্রশাসনও নিয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের জয়পুরহাট জেলায় এবার ২শত ৮৯ টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিল্পীরা এখন শেষ মূহুর্তের কাজ সারছে। অনেক শিল্পী আসছে নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। কেউবা আবার একই সাথে ৭/৮টি পূজা মণ্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় দিচ্ছে। তুলির আঁচড়ে সুন্দর করে তোলা হচ্ছে দুর্গা, গণেশ, কার্তিক ও মহিষাসুরের প্রতিমা। মন্দির গুলোয় সাজসজ্জায়ও ব্যস্ত ডেকোরেটর শ্রমিকরা। আজ সকালেমংগলবার মহালয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো দুর্গাপূজা।
প্রতিমা তৈরির উপকরণের খরচ আগের তুলনায় বেড়ে গেলেও সম্মিলিত সহযোগিতায় সবাই স্ব-স্ব মন্দিরে প্রতিমাকে সুন্দর করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
জেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ঋশিকেস সরকার জানান জেলায় এবার ২৮৯টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকের পাশাপাশি সরকারীভাবে ৫০০ কেজি করে চাল সাহায়তা পেয়েছে মণ্ডপগুলো, এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এই নেতা। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদেও প্রেসিডিয়ামের সদস্য অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান এবার জেলায় পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে, পূর্বে জেলায় পূজামণ্ডপ ছিল ২৫৫টি এবার ২৮৯টি। আমাদের আইন শৃঙ্খলা ভালো ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারি এটাই প্রত্যাশা।
দুর্গাপূজা যেন ভালো ভাবে সম্পন্ন হয় দফায় দফায় বৈঠক করেছে জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহম্মেদ ভুঞা। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ