কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় দুই সমর্থককে বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী।
রোববার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এবং এ ঘটনায় দলটির কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগের মধ্যে দুজন সমর্থককে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার রাতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার আমির মু. শাহজাহান, সেক্রেটারি সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমির মু. মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইনের যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত সমর্থকরা হলেন- উপজেলা বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের মৃত আবদুল বারিকের ছেলে মো. আবুল হাশেম ও মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. ওহিদুর রহমান।
জামায়াত নেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা জামায়াতের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
নেতারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা নয়, দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককেও হেনস্তার সমর্থন করে না। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। জড়িতদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করার জন্য জামায়াত নেতারা জোর দাবি জানান।
নেতারা আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা জামায়াতের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নন। জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া তারা কোনোভাবে সমর্থন করে না এবং প্রশ্রয় দেয় না।
তারা আরও বলেন, আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে জেনেছি- লাঞ্ছিত হওয়া আবদুল হাই কানু তার নিজ এলাকায় হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা নেতারা বিবৃতিতে আরও বলেন, এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি এবং জামায়াতে ইসলামীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় সমর্থক হওয়া স্বত্বেও তাদেরকে জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ