স্বল্প খরচ আর কম সময়ে সরিষা চাষে কৃষকেরা লাভবান হওয়ায় নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সরিষার আবাদ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে ফলন বেশি হওয়ায় চাষিরা বারি-১৪,১৫,১৭, বিনা-৯, টরি-৭ চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। আমন ধান সংগ্রহের পরপরই জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করেছেন তারা। এরপর আবার বোরো ধান আবাদ করবেন কৃষকরা। এতে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
লাভজনক এবং সরিষা চাষের অনুকূল পরিবেশের কারণে এবার চলতি রবি মৌসুমে কেন্দুয়া উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। যেকারণে হাওরগুলোতে হলুদের সমারোহ বইছে। আর সরিষার হলুদ ফুলের মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। এবছর ১ হাজার ৪৭৮ হেক্টর জমিতে সরিষা হয়েছে। গত বছর ১ এক হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে এক হাজার কৃষক প্রনোদনা পেয়েছে আর পুনর্বাসন করা হায়েছে ১ হাজার ৫০০ কৃষকে।
কৃষকেরা জানান, আমন ধান ঘরে তোলেই জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে এক চাষ করে সরিষার বীজ বপন করেছেন। সাথে ৫ কেজি করে এমওপি ও টিএসপি সার দিয়েছেন। ধান ফসলের মতো নিড়ানি ও পর্যাপ্ত সার কীটনাশক খরচ নেই। তাই সরিষা আবাদে তুলনামূলক লাভ বেশি। সরিষার পর এই জমিতে বোরো ধান আবাদ করবো। সরিষার ফসলটা তাদের জন্য একটা বোনাস বলেও জানায় তারা।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মোজাফরপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজনু জানান, আমন ধান কাটার পর সাধারণত বোরো ধান আবাদে আগপর্যন্ত জমিগুলো পতিত থাকে। এখন ওই জমিগুলোতে সরিষা চাষ করে কৃষকেরা বাড়তি আয় করতে পারছেন। হাওরজুড়ে হলুদের সমারোহ দেখা যায়।
এ ব্যাপারে কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদার জানান, গত বছরের চেয়ে এবার ৪২৮ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ