দেশের কয়েক জেলার ওপর দিয়ে আজও বয়ে যাচ্ছে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা কমছে অন্যান্য জেলায়ও। কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় বেশি বিপাকে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র ঠাণ্ডা ও হিমেল বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। দিনে ঝলমলে রোদ থাকলেও সন্ধ্যা নামতেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে গোটা জেলা। কয়েকদিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা নামা করায় দুর্ভোগে পড়েছে স্বলাপ আয়ের মানুষ। পরিবারগুলোতে দেখা দিয়েছে অর্থকষ্ট।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আজ বুধবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ দিকে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তীব্র কনকনে শীতের প্রভাব থাকায় বিপাকে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, ভ্যান চালক ও দিনমজুর।
তারা জানান, সকাল ৯টার পর থেকে এ অঞ্চলে আর ঠান্ডা থাকছে না। তবে নদীর পানিতে পাথর তুলতে গেলে বরফগলা পানিতে নেমে পাথর তুলতে গেলে দিনশেষে জ্বর, সর্দি আর কাশিতে ভুগতে হচ্ছে। পাথর তুলেই পরিবার চলে। পরিবারের কথা চিন্তা করেই কাজে বের হতে হয় আমাদের।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আগের তুলনায় কমেছে। বুধবার সকাল তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৭৭ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই এ জেলার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। তবে ভোরে কুয়াশা থাকছে না। ভোরেই দেখা মিলছে সূর্য। দিনের তাপমাত্রা ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রির মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে।’
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ