লক্ষ্মীপুরে দুই মাস না যেতেই আবারও বাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বাস চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর রাতে লক্ষ্মীপুর ঢাকা মহাসড়কের পাশে কবির বাড়ির দরজা নামক এলাকার গ্রীণ লীফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বাস সিলিন্ডার রিফিলের সময় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর ওই স্টেশনে একই ঘটনা ঘটে। তখন তিনজন নিহত হয়।
জানা যায়, ফিলিং স্টেশনে আল মদীনা নামীয় লোকাল বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে আবুল কালাম (২১) নামের একজন ঘটনাস্থলে ও নোয়াখালী হাসপাতালে নেওয়ার পথে রুবেল হোসেন (২৮) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজস।
আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নোয়াখালী ও ঢাকায় হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। নিহত কালাম পেশায় রং মেস্ত্রী, তিনি পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেনের ছেলে এবং রুবেল হোসেন আল মদিনা বাসের চালক ও রামগতি চর বাদাম ইউনিয়নের সাহাবুদ্দিনের ছেলে।
আহতরা হলেন- নোয়াখালীর কবির হাট এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন (৫০), স্থানীয় সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা নাইম (২৪)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, স্থানীয় গ্রীণ লীফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ভোর রাতে আল মদীনা নামীয় লোকাল বাস (চট্ট মেট্রো-ঝ ১১- ১৯৩০) গ্যাস রিফিলের জন্য যায়। হঠাৎ বাসটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় চারদিকে ধোঁয়া আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে একজনের মাথার খুলি উড়ে গিয়ে নিহত হন। এসময় চারদিকে ছুটোছুটি করেন আশপাশে থাকা চালক ও স্টেশনের কর্মচারীরা। পরে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। নোয়াখালী হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেকজন নিহত হয়। এসময় নিহতের স্বজনরা হাসপাতাল আঙিনায় আহাজারি করতে দেখা যায়।
গ্রীণ লীফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বাসটিরও সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে একজন ঘটনাস্থলে নিহত ও অন্য জন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এছাড়া আরো দুইজন আহত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সিলিন্ডারের কোন ক্রুটি ছিলো না। তারপরও কেন বিস্ফোরণ হয়েছে এটি আমাদের জানা নেই।
পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলের, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। এছাড়া দুইজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করছি, কারো ক্রুটি পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, এটি অত্যান্ত দুঃখজনক ঘটনা। এর আগে প্রায় ২ মাস আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডারের প্রমাণ পেয়েছি। আজকের ঘটনায়ও৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করবো। কেউ দোষী হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আহত ও নিহত পরিবারের প্রতি জেলা প্রশাসনের সমবেদনা ও সহযোগিতা থাকবে বলে জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ