ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মেলান্দহে ওরশের নামে চলছে মাদকের আসর

প্রকাশনার সময়: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:১০ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৪৯

জামালপুরের মেলান্দহে গত ৫ ডিসেম্বর থেকে ওরশের নামে প্রকাশ্য চলছে মাদক সেবন ও বেচাকেনা‌। উপজেলার দুরমুট ইউনিয়নের সুরুলিয়া এলাকায় মা বারই রানী (রহঃ) মাজারে ৪৩তম ওরস মোবারকে এ চিত্র দেখা যায়। তবে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এসব মাদক সেবন ও বেচাকেনা‌ বিষয় জেনেও নিরব আছে বলে অভিযোগ সচেতন নাগরিকদের।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর ) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুরুলিয়া এলাকায় হযরত শাহ কামাল ইয়ামেনী (রহ.) এর স্ত্রী মা বারই রানী (রহ) ইয়েমেনীর মাজার অবস্থিত। এই মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলাকে কেন্দ্র করেই মাজারের আশপাশে বসে বিভিন্ন দোকান। তবে মেলায় আসা ভক্তদের দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে গাঁজা। এবার মেলায় ভক্তদের শতাধিক গাঁজার দোকান রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এই মেলার জন্য এই এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। কিছু প্রভাবশালী মানুষ মেলার নামে গাঁজার জমজমাট ব্যবসা করছে। ওরসের নাম নিয়ে এখানে মাদক ব্যবসা করে টাকা কামানোয় তাদের আসল উদ্দেশ্য।

এসব বিষয়ে মাজারে ওরস পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. লিখনুজ্জামান লিখনের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, মাজার এভাবেই চলে। পূর্বেও এভাবেই চলছে। এবারও তাই চলবে। পাগলের ওরসে গাঁজা চলেই। এখানে ডিএসবির লোক আছে, প্রশাসনের লোক আছে, সব লোক আছে। ওনাদের সম্মতি নিয়েই সরাসরি চলতাছে। ইউএনও, ডিসি, এসপি, ওসির রেফারেন্সে চলে অনুমতিক্রমে।

ওই ইউনিয়নের বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা মেলান্দহ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম হিমন জানান, ওখানে দু-তিন জন গিয়ে অভিযান চালানো সম্ভব না। ওখানে সবাই পাগল। অভিযানে কম লোক গেলে আক্রমণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একা সেখানে গেলে বেঁধে মারতেও পারে। অভিযানে ২০-২৫ জনের টিম অংশ নিতে হবে।

জামালপুর সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কমিটির সভাপতি মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘ওরস মেলার নামে এভাবে প্রকাশ্যে মাদক সেবন বন্ধ না হলে যুবসমাজ ও শিক্ষার্থীরা মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়বে। মেলায় মাদক সেবন ও বিক্রির বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাই জানলেও কেন অভিযান পরিচালনা হচ্ছে না জানা নাই। দ্রুত অভিযান করে এসব বন্ধ করার দাবি জানাই।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান জানান, ওরসে মাদক চলে জানতাম না। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তা নিয়ে অভিযান চালানো হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ