ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দেখা নেই সূর্যের, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশনার সময়: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:২০

কুড়িগ্রামের উলিপুরে কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা থাকায় বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষ। আঁধার কেটে বেলা বেড়েছে, ঘড়ির কাটায় সকাল গড়িয়ে দুপুর হচ্ছে। তবুও বোঝার উপায় নেই দিনের আলো ফুটেছে কিনা। সূর্যের দেখা নাই ঘন কুয়াশায়।

যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীতের তীব্রতা যেন কুয়াশার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কুয়াশা ও শীতকে হার মানাতে বইছে উত্তরের হিমেল শীতল বাতাস। সব মিলিয়ে ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের পাশাপাশি শীতল বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে উপজেলার মানুষজন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না ঘর থেকে। আর এই তীব্র শীতে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। শীতের মাঝেও শত কষ্টে কাটাতে হচ্ছে দিন। শীত নিবারণে সম্বল হিসেবে খড়-কাঠে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরমের চেষ্টা করছেন তারা।

গত সোম ও মঙ্গলবার (৯ ও ১০ ডিসেম্বর) দু'দিন ধরে উলিপুরে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা ও শীতল বাতাস নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছে। তীব্র শীতে উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের তেমন অসুবিধা না হলেও বিপাকে পড়তে হয়েছে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষদের। শীতের মধ্যে শত কষ্ট হলেও পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন কাজের সন্ধানে। এই তীব্র শীতে কষ্ট পেতে হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষদের।

উপজেলার ফাঁসিদাহ বাজারের দিনমুজুর আব্দুল হামিদ, মঞ্জু মিয়া, হাবলু চন্দ্র বলেন, দু'দিন থেকে প্রচণ্ড শীত ঠান্ডায় ঘরের বাহিরে যেতে পারছি না তবুও পেটের দায়ে যেতে হচ্ছে।

কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাকিব, আসাদুল, রিয়াজ, আলামিন ও আব্দুল্লাহ আল বশির বলেন, আমাদের সকালে প্রাইভেট পড়া ও কলেজ যাওয়ার জন্য সাইকেলে করে প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। দু'দিন ধরে কুয়াশা ও ঠান্ডা পড়েছে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। নাক দিয়ে পানি পড়ছে হাত পা বরপের মত হয়ে গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, শীতের কারণে প্রায় প্রতিদিনই সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, হাঁপানি রোগীর সংখ্যা একটু একটু করে বাড়তে শুরু করেছে। এরমধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেলার উপর দিয়ে উত্তরের হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘাচ্ছন্ন থাকায় তাপমাত্রা বেশি বিরাজ করছে। কিন্তু উত্তরের হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে অনেক বেশি ঠান্ডা পড়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেঘ কেটে গেলে সূর্যের আলো দেখা যাবে। তবে ঠান্ডা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ