পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। উপজেলার ১৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় চতুর্থ শ্রেণির গণিত বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ৪র্থ শ্রেণির গণিত বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এমন শোরগোল ওঠে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলামের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তন্বয় হালদার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রিয়াজুল ইসলাম সুবিদখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেন। পূর্ব ও পরের প্রশ্নপত্র হুবহু মিলে যাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সহায়তায় তাৎক্ষণিক নতুন প্রশ্নপত্র করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে পরীক্ষা শুরু হতে একঘণ্টা বিলম্ব অর্থাৎ দুপুর ১টার পরিবর্তে ২টায় অনুষ্ঠিত হয়।
এমন ঘটনায় আক্ষেপ প্রকাশ করে অভিভাবকরা জানান, ‘ প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমরা হতাশ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন। অসৎ ও লোভী শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্যে তাদের সফল্য দেখানোর জন্য এই জঘন্য কাজ করছে।
তারা আরও জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের নিকৃষ্ট কাজ করার সাহস কেউ না পায়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, চতুর্থ শ্রেণির প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আমরা সম্পূর্ণ নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়েছি। একই সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে সত্যতা যাচাই এর জন্য প্রেরণ করা হয়েছিলো। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া মিলেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ