লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অগ্রহায়ণের শেষ সময়ে শীত কিছুটা বাড়ায় শপিংমলের পাশাপাশি ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি।
শীতবস্ত্র কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষেরা ভিড় করছেন উপজেলার তুষভান্ডার হকার্স মার্কেটের ফুটপাতে। মূলত বিকেল হতেই এ মার্কেটের ফুটপাতে ভিড় করেন ক্রেতারা। এ ছাড়াও তুষভান্ডার শহরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে সুলভ মূল্যে বাহারি শীতের পোশাক পাওয়া যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতের এসব দোকানে বয়স্কদের সোয়েটার, কোট, ব্লেজার, মাফলারসহ ছোটদের বিভিন্ন সাইজের শীতের পোশাকের আধিক্য বেশি। হকাররা অনেকে হাঁকডাক করে এসব কাপড় বিক্রি করছেন।
তুষভান্ডার হকার্স মার্কেটে ফুটপাতে মেয়েদের সোয়েটার মানভেদে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছোটদের বিভিন্ন পোশাক ৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাফলার ৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং গরম টুপি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সাইজের কম্বল কম্বল ২০০-৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
তুষভান্ডার অস্থায়ী হকার্স মার্কেটের ফুটপাতের ভাসমান দোকানিরা জানান, কিছুদিন শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসলেও তেমন বিক্রি হয়নি। এখন দুই দিন থেকে শীত প্রকোপ বাড়ায় ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। ফুটপাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশুদের শীতের পোশাক। এ ছাড়া জ্যাকেট, সোয়েটার ও বিভিন্ন ধরনের কম্বল কিনছেন ক্রেতারা।
ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা গৃহিণী মরিয়ম আক্তার বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ভোরে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। তাই বাচ্চাদের জন্য শীতের পোশাক কিনছি। তবে মান অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি।
এদিকে ডিসেম্বরের শেষে শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
তিনি বলেন, সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে বেশি শীত অনুভুত হয় বাংলাদেশে। যত দিন গড়াবে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমবে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে শীত বেশি অনুভূত হতে পারে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ