রাজধানীর উত্তরায় এক ব্যবসায়ীকে জিম্মি করি চেক লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। গত সোমবার বিকাল তিনটার দিকে উত্তরার এইচএম প্লাজার এম.এইচ ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরস এন্ড ট্রাভেল নামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান উত্তরা পশ্চিম থানায় এটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, যুবদল নেতা পরিচয়ে শাকিল হাসান শেখ,আজাহার ও সাদ্দাম হোসেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান ২০২২ সালে রাজধানীর বনানী এলাকায় রাফিয়া এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড নামক কোম্পানিতে চাকরি করতেন। একই বছরে কোম্পানিটির এজেন্ট মো.সালাম নাটোর জেলার হাট গুরুদাসপুর থানার বিয়াঘাট গ্রামের আরো আরজ আলীর ছেলে হাসান শেখ ও একই এলাকার হালিম শেখের ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে সৌদি আরব পাঠাতে ওই অফিসে নিয়ে আসেন। রাফিয়া এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস কোম্পানি ওই দুই ব্যক্তির সকল বৈধ কাগজপত্র জোগাড়,ভিসা ও বিমানেট টিকিট পেতে কাজ করে।কিছুদিন পর ওই দুই ব্যক্তি সৌদি আরব যাবার অনুমতি মেলে।তবে তারা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সৌদি আরব না গিয়ে কোম্পানির কাছে তাদের দেয়া ৮ লাখ টাকা ফেরত চান।কোম্পানিটির মালিক মো.মান্নান ওই দুই ব্যক্তি পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
এক বছর পর চাকুরী ছেড়ে ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান রাজধানীর উত্তরায় এম.এইচ ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরি এন্ড ট্রাভেল লিমিটেডেট নামক একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলেন। সোমবার বিকালে ট্রাভেল এজেন্সির অফিস যুবদল নেতা পরিচয়ে শাকিলসহ তার সাথে ৩০-৪০ জন যুবক অফিসে আসেন।পরে তার নিকটতম আত্মীয়ের পাওনা টাকা দাবি করে ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমানের অফিসে আসেন। পরে ওই ব্যবসায়ী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কথিত যুবদল নেতা শাকিল ও তার অন্যান্য সহযোগীরা ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমানকে তার অফিস থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরে পিটিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩লাখ টাকার তিনটি চেকে মোট ৯লাখ টাকা লিখে নেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নাম মাহবুবুর রহমান বলেন, রাফিয়া এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটিতে আমি চাকরী করতাম।২০২৩ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান খুলেছি।যুবলীগ নেতা পরিচয়ে শাকিল ও তার আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে টাকা দাবি করে। এ সময় জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে তিনটি চেকের পাতায় নয় লাখ টাকা লিখে নেয়।আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবদল নেতা পরিচয়দানকারী শাকিলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ওপাশ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায় নি। যোগাযোগ করা হলে মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শাকিল নামে কোন যুবদল নেতা এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বিষয়টি আমার জানা নেই। ব্যক্তি অপরাধের দায় সংগঠন কখনোই নেবে না। ওই এলাকায় যুবদলে শাকিল নামে কোন পদধারী নেতা কিংবা কর্মী পদে কেউ নেই। অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই /আরিফ জানান অভিযোগ পেয়ে তদন্ত গিয়েছিলাম। তদন্ত চলমান আছে তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ