চলমান উচ্চমূল্যের বাজারে গরুর মাংস কিনতে সাহস পাননা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারসহ অতি সাধারণ মানুষ। আর এসব পরিবারে গরুর মাংস ক্রয় করা যেন বিলাসিতা। তবে জিভের খোরাক মিটাতে গরুর মাংস কম দামে কিনতে অনেকেই চায়। আর তা যদি পাওয়া যায় মাত্র ২০০ টাকায়। এমন সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইবে না অনেকেই। তাও রান্নার উপকরণ সহ সাধ্যের মধ্যে কম্বো প্যাকেজে।
সাধারণ মানুষের জন্য ঠিক এমন সব চিন্তা ভাবনা নিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চালু করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকায় গরুর মাংসের কম্বো প্যাকেজ। আর এতে হাসি ফুটেছে স্বল্প আয়ের মানুষের মুখে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে কলাপাড়া পৌর শহরের কৃষক বাজারে এই প্যাকেজের উদ্বোধন করে উপজেলা প্রশাসন। ফলে সকাল থেকে হাসি মুখে মাংস ক্রয় করছেন সব শ্রেণি পেশার মানুষ। আর এই হাটেই সবজি বিক্রি করে সস্তায় গরুর মাংস কিনতে পারায় খুশি প্রান্তিক চাষিরা।
নীলগঞ্জ থেকে তরকারি বিক্রি করতে আসা সালাম বলেন, সকালে লাউ সহ প্রভৃতি সবজি নিয়ে এসছিলেন টোল ফ্রি হাটে। অধিকাংশ সবজি বিক্রি হয়েছে। এখন ৩৫০ টাকায় ৫০০ গ্রাম গরুর মাংস কিনে রেখেছেন। সবজি বিক্রি শেষ হলে পরিবারের জন্য মাংস নিয়ে ঘরে ফিরবেন তিনি।
এই হাটের ক্রেতা রাজীব মোল্লা জানান, সবজি কিনতে এসে কম্বো প্যাকেজ দেখে অবাক হয়েছি। ৩ পিচ আলু, কিছু কাঁচা মরিচ আর ৩ পিচ পেঁয়াজসহ মাত্র ২০০ টাকায় একটা মাংসের প্যাকেজ নিয়েছি। যদিও আমার বাজেট কম ছিল কিন্ত সাধ্যের মধ্যে পেয়ে একটা প্যাকেজ নিয়েছি।
রিকশা চালক সুমন জানান, এই বাজারে কম দামে সবজি কিনতে পাওয়া যায় বলে এখান থেকেই কদিন ধরে তরকারি কিনছি। কিন্ত আজ ২০০ টাকায় মাংস পেয়ে এক প্যাকেজ নিয়েছি। এভাবে পাইলে তো আমরা গরিবরা গরুর মাংস কিনতে পারবো। অল্প মাংস কিনতে গিয়ে দোকানে লজ্জায় বলতে পারি না।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের নিয়মিত কৃষক বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে মূলত এই মাংসের কম্বো প্যাকেজ চালু করা হয়েছে। এখন ছোট পরিবার, ব্যাচেলর কিংবা যারা কম অয়ের মানুষ তারা সুবিধাটি নিতে পারছেন।
অনেকেই এই প্যাকেজটি চালু হওয়ায় খুশির কথা জানিয়েছেন। ২০০ টাকায় আলু, পেঁয়াজ ও মরিচ সহ মাংস নিতে পারছে। আর ৩৫০ টাকায় ৫০০ গ্রাম মাংস নিতে পারছেন। আজ প্রথম দিন ১০০ কেজির প্যাকেজ ছিল। তা সিংহভাগ বিক্রি হয়ে গেছে।
এ ছাড়া যাদের একবারেই কেনার মতো অর্থ নেই তাদের জন্য এই হাটে সবজির ডোনেট বক্স চালু করা হয়েছে জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ