ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশনার সময়: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১:০৩ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১:০৬

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সুনামগঞ্জের বোরো ফসল অকাল বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে বাঁধের কাজ যথা সময়ে শুরু ও শেষ করতে হবে। পাশাপাশি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে কেউ অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জেলার সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান টাঙ্গুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মতবিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, জেলায় কাবিটা কাজ বাস্তবায়নের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে এবং ফসল রক্ষা বাঁধের বরাদ্দের নামে অহেতুক কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না। এক কথায় পরিবেশ রক্ষা করেই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। সেই সাথে বাঁধ নির্মাণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ তদারকি করব। সবাইকে সর্তক থাকতে হবে যাতে বাঁধের কাজে কোনো ধরনের গাফিলতির কারণে কৃষকের সোনালী ধানের ক্ষতি না হয়।

তিনি আরও বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে দেখে এসেছি, বাঁধ ভেঙে ফসলের যে ক্ষতি হয় এবং যেসব বাঁধগুলো ভেঙে ক্ষতি হয়েছে, সে অনুযায়ী কোথায় শক্ত করে বাঁধ দিতে হবে এবং বাঁধ তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে সেগুলো দেখব।

টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশে আর নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে অনেক পর্যটকবাহী নৌকা আসে। নৌকার এত শব্দ, এত-এত প্লাস্টিক, পলিথিন এগুলোর নিয়ন্ত্রণ কীভাবে করা যায় সেটি খেয়াল রাখতে হবে। টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশে আর নেই সেজন্য হাওরে ট্যুরিজম চলবে তবে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কত জন আসবে, কীভাবে আসবে, প্লাস্টিক আনবে কি না এই বিষয়গুলো নিয়মের ভেতরে আনা হবে।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৫টি খাল উদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, কামারখালসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে শহরের এই খালগুলো উদ্ধার করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। পরে তিনি খালগুলো উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসন ও পৌরসভাকে নির্দেশ দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম খান, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসাররা, পাউবোর উপ-সহকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ