খাদ্য শস্য ভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশের রোপা আমন ধানের মাঠ যেন সোনালী চাদরে ঢাকা। সেই সাথে চলছে ধান কাটা ও মাড়াই উৎসব। নারী ও পুরুষ কৃষি শ্রমিকেরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে। চাষি ও শ্রমিকদের কাছে এটা একটা মহা উৎসব।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। উপজেলায় এ বছর হাইব্রিড ১১০০ জাত, ৪ জাত, ৬ জাত, এরাইস ৭০০৬ জাত, বিআর-২২, ব্রি ৩৪, ৩৬, ৩৯, ৪৯, ৫১, ৫২,৭৫, ৮৭, ৯০, ৯৩, ৯৫, বিনা ধান ৭,১৭, ২২ ও স্বর্ণা জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কৃষকেরা এ বছর নির্বিঘ্নে বোরো ধানের আবাদ করতে পেরেছেন।
তালম গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, বাজারে কাঁচা ভেজা ধানের দাম বেশ ভালো। হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটলে খর নষ্ট হয়, তাই গবাদী পশুর খাদ্যের কথা চিন্তা করে মেশিন দিয়ে ধান না কেটে শ্রমিক দিয়ে কেটেছেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া ধান কাটকে পারলে, গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে উঠে লাভবান হতে পারবেন বলেও জানান এই কৃষক।
রানীদিঘী গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, পাশাপাশি দামও ভালো। বাড়ির সবাই মাড়াই ও ধান ঘরে তোলার কাজে হাত লাগাচ্ছে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা এই ধান ঘরে তুলতে সাহায্য করছে। সব মিলিয়ে এক উৎসব মুখর পরিবেশ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উপজেলায় রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান কেটে কৃষকরা সহজেই ওই জমিতে সরিষা রোপণ করতে পারবেন, শুরুতে ধানের দাম বেশি থাকায় তারা আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন। আশা করছি চলতি মৌসুমে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত খাদ্য শস্য উৎপাদন হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ