জামালপুরের মেলান্দহে মামলার তদন্তকাজে ঘুষ নেয়া ও সেবা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিরুদ্ধে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে মেলান্দহ উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নাম মো. মাসুদ রানা। যার বিপি নম্বর-৭৫৯২০২৭২০৬। তিনি মেলান্দহ থানায় সেকেন্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
ভুক্তভোগীর নাম মো. রবিউল ইসলাম, তিনি মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের পূর্ব মালঞ্চ এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে রবিউল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞ নির্বাহী মেজিস্ট্রেট আদালত (খ) অঞ্চল জামালপুর একটি মামলা দায়ের করি। যার মুকাদ্দমা নং- ২৬৪/১ (২৪)। সেই মামলার তদন্তর কাজ শুরু করেন এসআই মাসুদ রানা। তিনি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করতে সময় ক্ষেপন করেন। উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদ রানার সাথে তদন্ত প্রতিবেদনের অগ্রগতি জানতে তাহার সহিত মেলান্দহ থানার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দেখা করিলে ৩ (তিন) ধাপে আমার নিকট থেকে নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা নেন। বার বার মামলার প্রতিবেদনের কথা জানতে চাইলে উগ্র ভাষায় কথা বলে ও মামলায় উল্লেখিত দাবির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিবে বলে হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী বলেন, মামলার প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আমার কাছ থেকে তিন ধাপে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছে মাসুদ দারোগা (এসআই)। আমি তার কাছে প্রতিবেদনের কথা জানতে গেলে উল্টো হুমকি দেয় যে তোমার বিপক্ষে রিপোর্ট দিমু। তিন মাসের মধ্যে মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও ছয় মাস পরে মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। এই হয়রানি থেকে আমি মুক্তি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে (এসআই) মো. মাসুদ রানা বলেন, তার অভিযোগটি সত্য নয়। তদন্ত করে যা পেয়েছি আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
জামালপুর পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল হক বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ