মোংলা বন্দরে নব্যতা সংকটে পণ্য নিয়ে গত চারদিন ধরে বন্দরের আউটারবারে (বহিঃনোঙ্গর) এ আটকে আছে পানামা পতাকাবাহী “এমভিসিএস ফিউচার” ও টুভ্যালু পতাকাবহী “এমভি পাইনিয়র ড্রিম” নামের দুটি বিদেশি জাহাজ।
নাব্যতা সংকটের কারণে বিদেশি এ জাহজ দুটি বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি।
জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট পার্ক শিপিংয়ের সত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির পাটোয়ারি এবং এফএমএস মেরিটাইমের খুলনাস্থ ব্যবস্থাপক মোঃ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মোংলা বন্দরের আউটারবারে সাড়ে ৯ মিটার জাহাজ প্রবেশে ড্রেজিং করা হলেও তাদের জাহাজ দুটি সাড়ে ৯ মিটারেরও কম। শত কোটি টাকা খরচ করে ড্রেজিং করে কোন লাভই হলো না।
‘আমাদের এখন মোটা অংকের টাকা খরচ করে লাইটার জাহাজ পাঠিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে।’ বলেন হুমায়ুন কবির ।
তবে এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, ‘এটা মেজর সমস্যা না, ওখানে লাইটার দিয়ে কিছু পণ্য খালাস করে বন্দরে জাহাজ দুটি আনা হবে। ড্রেজিং করার পর ওই জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হওয়া ও এরপর বর্ষা মৌসুমের কারনে খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল (৩ অক্টোবর) আউটারবারে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার পাঠানো হয়েছে।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটারবার ড্রেজিংয়ের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) মোঃ শওকত আলী বলেন, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আউটারবারে ড্রেজিং এর কাজ শেষ হয়। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে হোপার ড্রেজার দিয়ে সেটি পুনরায় খনন কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্য ২৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে নয় দশমিক তিন মিটারের পানামা পতাকাবাহী এমভিসিএস ফিউচার জাহাজ হিরন পয়েন্টের পাইলট ষ্টেশনে নোঙ্গর করে। এরপর ১ অক্টোবর ১১ হাজার মেট্রিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে নয় দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার টুভ্যালু পতাকাবাহী আরেক বিদেশি জাহাজ “এমভি পাইনিয়র ড্রিম”।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ